স্যাম কুক নিশ্চয়ই এমনটা চাননি! ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আফগান স্পিনার রশিদ খানের রেকর্ড নিজের করে নিলেন এই পেসার।
রশিদের রেকর্ড অনেকেই নিজের করে নিতে চান। তবে কুকের ভাগ্যে যেটা জুটেছে, সেটা হয়তো কেউই চান না।
ইংল্যান্ডের হয়ে চলতি বছরের মে মাসে অভিষিক্ত এই পেসার কাল দ্য হানড্রেডে ৫ বলের সেটে রান দিয়েছেন ৩২, যা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে ওভার (হানড্রেডে ওভার ৫ বলে)। এর আগে ৫ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান দেওয়ার রেকর্ড ছিল রশিদের। সেটি গত মৌসুমের ঘটনা।
ওভাল ইনভিন্সিবলসের বিপক্ষে কাল ওভালে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ট্রেন্ট রকেটস তুলেছিল ১০০ বলে ১৭১ রান। ৪১ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জো রুট। ১৭২ রানের লক্ষ্য ওভাল ছুঁয়ে ফেলে ১১ বল বাকি থাকতেই।
অথচ একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচ ট্রেন্ট রকেটসের পক্ষেই ছিল। প্রথম ১০ বলে ৬ রান দেওয়া কুক যখন নিজের তৃতীয় ওভার বোলিং করতে আসেন তখন ওভালের ৩৫ বলে দরকার ৮৩ রান। মানে সমীকরণটা মোটেই সহজ ছিল না। কুক এই সময়ে ৫ বলে রান দেন ৩২।
শুরুটা করেন ওয়াইড বলে বাউন্ডারি দিয়ে। মানে ৫ রান। পরের বলটিও ওয়াইড। কোনো বল না করতেই ৬। কুকের করা পরের দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন স্যাম কারেন। তাতে কুক ২ বলে রান দিয়েছেন ১৬। এখানেই শেষ নয়।
দ্য হানড্রেডের নিয়ম অনুসারে বল বাকি আরও তিনটি। পরের বলটি করলেন নো বল এবং সেটা ছক্কা। হানড্রেডে একটি নো বল মানে ২ রান। মানে এই বল থেকে এসেছে ৮ রান। ফ্রি হিটেও হজম করলেন ছক্কা। দাঁড়াল কত? ৩ বলে ৩০। বেচারা কুক পরের দুটি বল চার ছক্কা কিছুই হজম করেননি। রান দিয়েছেন ২। এই ওভারে ২৪ রান এসেছে ব্যাট থেকে, পুরোটাই নিয়েছেন কারেন।
কুকের আগের ওভার বোলিং করেছিলেন ডেভিড উইলি। তিনিও সেই ওভারে খরচ করেন ১৯ রান। মানে এই ১০ রান ওঠে ৫১। তাতেই ওভালের জন্য জয়টা সহজেই আসে। ২৪ বলে ৫৪ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন কারেন। জর্ডান কক্স ৩২ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।