Thank you for trying Sticky AMP!!

২০ বলে ফিফটি করেন ইফতিখার আহমেদ

শেষ ওভারে ইফতিখার-ঝড় থামিয়ে পাকিস্তানকে হারাল নিউজিল্যান্ড

ম্যাচটা প্রায় জিতিয়েই ফেলেছিলেন ইফতিখার আহমেদ। শেষ তিন বলে দরকার মাত্র ৫ রান। ততক্ষণে ৬টি ছয় মেরে দেওয়া ইফতিখারের পক্ষে এ আর এমন কী!

কিন্তু জিমি নিশামের চতুর্থ বলে ঝড় থেমে গেল লং অনে ক্যাচে। পরের দুই বলে রান নিতে পারলেন না হারিস রউফও। হারের কিনারে থেকে ইফতিখার-ঝড় থামিয়ে নিউজিল্যান্ড জিতল ৪ রানে।

প্রথম দুই ম্যাচে জেতায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান এখনো ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে।

লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে যে পাকিস্তান শেষ বল পর্যন্ত জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিল, তার মূলে ইফতিখারের ঝোড়ো ব্যাটিং। নিউজিল্যান্ডের তোলা ৫ উইকেটে ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।

আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাবর আজম এবার ৬ বলে ১ রান করে আউট হন

তখনো ৩৫ বলে দরকার ৭৬ রান। সেখান থেকে ফাহিম আশরাফকে সঙ্গে নিয়ে জয় নাগালে নিয়ে আসেন ইফতিখার। ভালো সঙ্গ দেন ফাহিমও। ২ ছক্কা ২ চারে ১৪ বলে ২৭ রান করে ফাহিম আউট হন উনিশতম ওভারের তৃতীয় ওভারে। ম্যাট হেনরির করা ওভারের শেষ তিন বলে নাসিম শাহ এক রানও নিতে পারেননি। শেষ ওভারে ইফতিখারের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ রানের।

প্রথম বলে ৬ আর তৃতীয় বলে চার মেরে লক্ষ্যটা প্রায় মুঠোয় নিয়ে আসেন ইফতিখার। কিন্তু চতুর্থ বলে আর সীমানা পার করতে পারেননি। লং অনে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচে থেমে যায় ২৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস। যে ইনিংসের পথে ছিল ৬টি ছয় আর তিনটি চার। গড়েন পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম ২০ বলে ফিফটির রেকর্ড।

Also Read: ইফতিখার এখন সাকিবদেরও ‘চাচা’

ইফতিখারের আউটের পরও জয়ের সুযোগ ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু নিশামের পঞ্চম বলে ব্যাটই লাগাতে পারেননি রউফ। শেষ বলটি তুলে মারলেও ক্যাচ হন মিউ উইকেটে।

Also Read: বিশ্বরেকর্ড গড়লেন সাকিব, সঙ্গী ইফতিখার

এর আগে নিউজিল্যান্ডের রান দেড় শ পার করাতে বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। বাঁহাতি এ ওপেনার ৪৯ বলে করেন ৬৩ রান। ড্যারিল মিচেলের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩৩ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ।

জয়ের উল্লাস নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের

রান তাড়ায় দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ১৭ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। বাবর ৬ বলে ১ আর রিজওয়ান ১০ বলে ৬ রান করেন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও হাল ধরতে না পারলে ৮৮ রানে যায় ৭ উইকেট। যেখান থেকে ইফতিখার-ঝড়ে জয়ের সম্ভাবনা জেগে ওঠা, শেষ ওভারে ঝড় থেমে যাওয়ার পর হারও।

Also Read: বাবরের আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড কি আজ