
ইংলিশ ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাতের সুবিধা নিয়ে প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানের লিড নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেনে আজ দিনের শেষে জয়ের সুবাস নিয়ে সেই অস্ট্রেলিয়া হোটেলে ফিরেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৪ রান তুলতেই ইংল্যান্ড হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। ইনিংস হার এড়াতে আরও ৪৩ রান দরকার বেন স্টোকসদের। উইকেটে আছেন স্টোকস ও উইল জ্যাকস। দুজনই অপরাজিত ৪ রান করে।
ইংল্যান্ডের শুরুটা খারাপ ছিল না। দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিং শুরু করা দলটি চা বিরতিতে যায় ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৫ রান তুলে। বিরতির পরই বিপর্যয়ের শুরু। দ্বিতীয় ওভারেই স্কট বোল্যান্ডের নিচু হয়ে যাওয়া বলে বোল্ড বেন ডাকেট। ব্যক্তিগত ৬ রানে মাইকেল নেসারকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেও ইনিংসটাকে বড় করতে পারলেন না ডাকেট, দলকে ৪৮ রানে রেখে ব্যক্তিগত ১৫ রানে বিদায় নিলেন।
সেখান থেকে ওলি পোপকে নিয়ে আরও ৪২ রান যোগ করেন ওপেনার জ্যাক ক্রলি। ২৬ রান করা পোপের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে জুটি ভাঙেন ডাকেটের ক্যাচ ছাড়া সেই মাইকেল নেসার। চার ওভার পর আবারও নিজের বলে ক্যাচ নিলেন নেসার। এবারের শিকার ক্রলি। ৫৯ বলে ৪৪ রান করা ক্রলির বিদায়ে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৯৭/৩।
এরপর ইংল্যান্ড হারিয়েছে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান জো রুটকে (১৫)। মিচেল স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন রুট। রিভিউ নিয়েই উইকেটটি পেয়েছেন স্টার্ক। স্টার্ক পরে জেমি স্মিথকেও অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচ বানিয়েছেন। ক্যারি ক্যাচ নিয়েছেন হ্যারি ব্রুকেরও। বোল্যান্ডের বলে ফিরেছেন ১৫ রান করা ব্রুক।
৬ উইকেটে ৩৭৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া থামে ৫১১ রানে। ৪৬ রানে দিন শুরু করা ক্যারি ফেরেন ৬৩ রানে। তবে ইনিংসে সর্বোচ্চ রান এসেছে মিচেল স্টার্কের ব্যাট থেকে। নয়ে নেমে ১৪১ বলে ৭৭ রান করেছেন বল হাতে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া স্টার্ক। আর তাতে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়াই ৫০০ রান করার পঞ্চম উদাহরণ গড়তে পারে অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ড: ৩৩৪ ও ৩৫ ওভারে ১৩৪/৬ (ক্রলি ৪৪, পোপ ২৬; নেসার ২/২৭, বোল্যান্ড ২/৩৩, স্টার্ক ২/৪৮)।অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১১৭.৩ ওভারে ৫১১ (স্টার্ক ৭৭, ওয়েদেরাল্ড ৭২, লাবুশেন ৬৫, ক্যারি ৬৩, স্মিথ ৬১, গ্রিন ৪৫; কার্স ৪/১৫২, স্টোকস ৩/১১৩)।