আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন নবী।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন নবী।

পাকিস্তানকে হারানোর ম্যাচে সাকিবের রেকর্ড ছুঁলেন নবী

বয়স ৪০ বছর ২৪৫ দিন। প্রায় ৪১ বছর বলাই যায়। এই বয়সেও নতুন নতুন কীর্তি গড়ে চলেছেন আফগান ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার মোহাম্মদ নবী।

শারজাতে ত্রিদেশীয় সিরিজে কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ১৮ রানে জয়ের ম্যাচে ২০ রানে ২ উইকেট নেন নবী। তাতে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

প্রথম কে, সেটা হয়তো জানেনই। প্রথম আফগান ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেওয়া রশিদ খানের উইকেটসংখ্যা এখন ১৬৭। এই লেগ স্পিনার এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক।

গতকাল সাকিবকে ছুঁয়েছেন নবী।

তবে রশিদের চেয়ে এক জায়গায় এগিয়ে নবী। নবীর মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুই হাজারের বেশি রান নেই রশিদের। এই সংস্করণে নবীর রান ২২৪৬। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় ক্রিকেটার নবী। প্রথম বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। সাকিব এই রেকর্ড গড়েন ২০২২ সালে, অর্থাৎ গতকাল সাকিবকে ছুঁয়েছেন নবী।

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া সাকিবের রান ও উইকেট নবীর চেয়ে বেশি। টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের রান ২৫৫১, উইকেট ১৪৯টি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও সাকিবের উইকেট নবীর চেয়ে অনেক বেশি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট ৫০৩টি, নবীর ৩৮৭।

কাল ১৮ রানে জিতেছে আফগানিস্তান।

সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের পঞ্চম বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া সাকিবের আরও একটি অনন্য কীর্তি আছে। ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এই সংস্করণে ৭ হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের ‘ডাবল’ পেয়েছেন সাকিব। ডাবলটাকে ৫০০ উইকেট ও ৫ হাজার রানে নামিয়ে আনলে সাকিব হয়ে যান দ্বিতীয়। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সাকিব ছাড়া ৫ হাজার রান ও ৫০০ উইকেট আছে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ডোয়াইন ব্রাভোর (৬৯৭০ রান ও ৬৩১ উইকেট)।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নবীর রান ৬৪০৫। এখনো যেভাবে খেলে যাচ্ছেন তাতে আরও কিছু কীর্তি নবী গড়বেন, সেটা নিশ্চিত!