Thank you for trying Sticky AMP!!

অর্ধশতক করেছেন টেক্টর

সিলেটের রান লাগত ১৯, রুবেল দিলেন ২৪

শেষ দুই ওভারে সিলেটের দরকার ছিল ১৯ রান। আগের ওভারেই আউট হন ওপেনার হ্যারি টেক্টর। এমন পরিস্থিতিতে একটা বড় শট খুব প্রয়োজন ছিল সিলেটের। সেই কাজ করেছেন জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল।

১৯তম ওভারে রুবেল হোসেনের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন বার্ল। ওই ছয়সহ সেই ওভারেই তুলে নেন ২৪। যেখানে বার্লের সঙ্গী আরিফুল হোসেনের রান মাত্র ১। ১৫৪ রান তাড়া করতে নেমে বার্লের ১৬ বলে ৩২ রানের ইনিংসেই খুলনাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে খুলনা এখন পয়েন্ট তালিকার চারে। ৯ ম্যাচে ৩ জয়ে সিলেটের স্থান ষষ্ঠ।

১৫৪ রান, খুব বেশি বড় লক্ষ্য নয়। উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক না হলেও কোনো ব্যাটসম্যান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেললে রানটা হয়েই যায়। আজ যেমনটা হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বেলায়। বার্লের আগে সিলেটের ইনিংস টেনে তুলেছেন টেক্টর। ইনিংসের প্রথম ৮ বলে কোনো রান না করা টেক্টর করেন ৫২ বলে ৬১ রান। বিপিএলের উইকেটে এ ধরনের ইনিংস আরও একবার কার্যকরী প্রমাণ হলো।

এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে আউট হন সামিত প্যাটেল। নাজমুল হোসেন পুরো বিপিএলটাই হয়ে আছেন ‘শান্ত’। আজও নিজের কাজটা করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ১৬ বলে ১৮ রান করে। নাজমুলকে আউট করা সেই ওভারে মার্ক ডেয়াল আউট করেন জাকির হোসেনকে। এই স্পিনারের দুটো বলই ছিল শর্ট। তুলে মারতে গিয়ে একজন আউট হয়েছেন মিড উইকেটে আর অন্যজন মিড অনে। এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকেও আউট করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিনার। তবে কাজের কাজ হয়নি।

ম্যাচ শেষের পর বার্ল

অন্যদিকে এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া খুলনার ১৭ ওভার শেষে রান ছিল ৩ উইকেটে ১০২। অধিনায়ক এনামুল হক ব্যাট করছিলেন ৫১ বলে ৫০ আর হাবিবুর রহমান ১৯ বলে ১২ রান। তারা টি-টোয়েন্টি না ওয়ানডে খেলছেন সেটা নিয়েই হয়তো তখন প্রশ্ন করা যেত। তবে সেখান থেকে শেষ ৩ ওভারে খুলনা রান করে ৫১। ইনিংসের ১৮তম ওভারে বেনি হাওয়েলের বলে ১৭, তানজিম হাসানের করা ১৮তম ওভারে ১২ ও ২০তম ওভারে রেজাউর রহমানের ২২ রান নেন এই জুটি। ইনিংসের শেষ ওভারে রেজাউরের বলে টানা তিনটি বল রিভার্স স্কুপ করে থার্ড ম্যান দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান। যেখানে শেষ শটটি হয় ছক্কা।

Also Read: খুলনা টাইগার্সে জেসন হোল্ডার

১৯ বলে ১২ রান থেকে এরপর হাবিবুর ইনিংস শেষ করেন ৩০ বলে ৪৩, এনামুল করেন ৫৮ বলে ৬৭। এর আগে শুরু থেকে সিলেটের বোলারদের চাপে ছিলেন খুলনার ব্যাটসম্যানরা। শুরুতে এভিন লুইস আউট হয়ে ফেরেন ১২ রানে। এরপর আফিফ হোসেন আউট হন ১৬ বলে ২৪ রান করে। মাহমুদুল হাসান আউট হন ১ রান করে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৫৩/৩ (এনামুল ৬৭*, লুইস ১২, আফিফ ২৪, মাহমুদুল ১, হাবিবুর ৪৩; সানজামুল ৪-০-১৬-১, তানজিম হাসান ৩-০-২৬-০, সামিত ৪-০-২২-১, টেক্টর ১-০-৮-০, রেজাউর ৩-০-৪৫-০, হাওয়েল ৪-০-২৭-১, বার্ল ১-০-৭-০)

সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৯ ওভারে ১৫৯/৫ (টেক্টর ৬১, সামিত ১৩, নাজমুল ১৮, জাকির ০, মিঠুন ২৪, বার্ল ৩২*, আরিফুল ১৮; নাহিদুল ৩-১-১১-১, সুমন ৪-০-৩৬-১, ডেয়াল ৪–০–১৯–৩, রাজিতা ৩-০-২৯-০, নাসুম ৩-০-২৬-০, রুবেল ২-০–৩৬-০)

ফল: সিলেট ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: হ্যারি টেক্টর

Also Read: টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও ওয়ার্নারের ‘১০০’