
টেস্টে দ্বিতীয়বার জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ১৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে একাধিকবার জোড়া সেঞ্চুরি কীর্তি গড়েছেন নাজমুল। ড্র হওয়া গল টেস্টের শেষ দিনে নাজমুলের জোড়া সেঞ্চুরিই শিরোনাম হয়েছে। আর নাজমুলের সেই কীর্তিতে চাপা পড়ে গেছে আরেকটি ‘জোড়া সেঞ্চুরি’!
গতকাল শেষ হওয়া গল টেস্টে আর কে জোড়া সেঞ্চুরি পেলেন, এ প্রশ্ন করতেই পারেন! না, নাজমুল ছাড়া আর কেউ দুবার সেঞ্চুরি পাননি। তবে এই ম্যাচে দ্বিতীয় আরেকটি জোড়া সেঞ্চুরি কিন্তু আছে। সেটি এসেছে জুটিতে। আর জুটির সেই জোড়া সেঞ্চুরি বাংলাদেশ প্রথম দেখল এবারের গল টেস্টেই।
সেই প্রথমেও আছে নাজমুলের নাম। মুশফিকুর রহিমকে নিয়েই দুই ইনিংসেই চতুর্থ উইকেটে সেঞ্চুরি জুটি গড়েছেন। প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯। আর তাতেই ইতিহাস।
টেস্টে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি জুটি আছে ১০৬টি। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ তিনটি সেঞ্চুরি জুটিও কম দেখেনি বাংলাদেশ। এবার গল টেস্টেই তিনটি সেঞ্চুরি জুটি ছিল বাংলাদেশের। মুশফিক-নাজমুলের দুটি ও প্রথম ইনিংসে মুশফিক-লিটনের। সব মিলিয়ে ছয়টি টেস্টে বাংলাদেশের তিনটি করে সেঞ্চুরি জুটি আছে। তবে মুশফিক-নাজমুলের মতো এক ম্যাচে আর কোনো জুটি দুবার ১০০ ছুঁতে পারেননি।
টেস্টে ব্যাটসম্যানদের জোড়া সেঞ্চুরির ঘটনা ৯৬টি। তবে জুটিতে জোড়া সেঞ্চুরি এর প্রায় অর্ধেক—৫১টি। ১৯২৪ সালে সর্বপ্রথম যে কীর্তি গড়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী জুটি জ্যাক হবস ও হার্বার্ট সাটক্লিফ। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁরা ১১০ রান যোগ করেন উদ্বোধনী জুটিতে।
ইতিহাসে মাত্র দুটি জুটি দুবার জুটিতে জোড়া সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। প্রথম জুটিটি লেন হাটন ও সিরিল ওয়াশব্রুকের। ১৯৪৭ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি জুটি গড়ার পর ১৯৪৮ সালে হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করেন দুজন।
দ্বিতীয় জুটিটি দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও জ্যাক ক্যালিসের। ২০০৮ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ও দুই বছর পর সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
নাজমুল-মুশফিকরা হাটন-ওয়াশব্রুক ও ডি ভিলিয়াস-ক্যালিসের কীর্তি ছুঁতে পারবেন কি?