Thank you for trying Sticky AMP!!

৩১ বছর বয়সেই অবসর নেন অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মেগ ল্যানিং

‘অতিরিক্ত শরীরচর্চা, না খাওয়া’—৩১ বছরে আচমকা অবসরের কারণ জানালেন ল্যানিং

মাত্র ৩১ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আচমকা অবসরে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। তার আগেও ব্যক্তিগত কারণে একাধিকবার ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। ঠিক কী কারণে অবসরে যাচ্ছেন, সেটি এর আগে খোলাসা না করা ল্যানিং এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন।

অস্ট্রেলিয়াকে অধিনায়ক হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপ জেতানো ল্যানিং জানিয়েছেন, খাবার ও শরীরচর্চার ব্যাপারে অস্বাস্থ্যকর এক অভ্যাস গড়ে উঠেছিল তাঁর। এরই ফল তাঁর অমন অবসরে যাওয়া।

প্রায় এক দশক ধরে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ল্যানিং। চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, জিতেছেন কমনওয়েলথ গেমসের সোনাও। তবে এসবের মধ্যেই ভুগতে হয়েছে তাঁকে।

Also Read: ভলভার্টের ১৮৪*-এর জবাবে আতাপাত্তুর ১৯৫*, রেকর্ড এলোমেলো করে দিল শ্রীলঙ্কা

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের একটি পডকাস্টে ল্যানিং বলেছেন, চাপ কমাতে সপ্তাহে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়েছেন তিনি। তবে যথেষ্ট খাদ্য গ্রহণ করেননি। ফলে ওজন কমে গেছে, ঘুমাতে পারেননি। মেজাজ খিটখিটে থাকত, কাছের মানুষদের থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।

চাপ কমাতে সপ্তাহে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়েছেন ল্যানিং (বাঁয়ে)

‘মেগাস্টার’ ডাকনামের ল্যানিং বলেছেন, ‘আমি অতিরিক্ত শরীর চর্চা করেছি, সেভাবে খাইনি। এটাই ধীরে ধীরে বেড়েছে। তবে আমি মানতে চাইনি, যদিও সবাই আমাকে বলছিল কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। আমি সফর করার মতো অবস্থায় ছিলাম না। (২০২৩ সালে) অ্যাশেজ সিরিজে যে মানের নিবেদন দরকার ছিল, মানসিক ও শারীরিক দিক দিয়ে সেটি দেওয়ার মতো এবং ক্রিকেট খেলার মতো অবস্থায় ছিলাম না।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ল্যানিং। বিগ ব্যাশ লিগের পর ভারতে ডব্লুপিএলেও (মেয়েদের আইপিএল নামেও পরিচিত) খেলেছেন। নিজের এই সমস্যাকে ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’ বা ‘খাদ্যাভ্যাস বিকৃতি’ মানতে রাজি না হলেও পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে সহায়তা নিয়েছেন।

Also Read: দেশের হয়ে খেলাটাই আসল ফারজানার কাছে

ল্যানিংয়ের মতে, ‘নিজে নিজে সময় কাটাতে সমস্যা হয় না এমনিতে। কিন্তু খুব অল্পসংখ্যক মানুষ আছে, যাদের সঙ্গে মিশতে চাই। (তবে) কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলেই আমি মেজাজ হারাতাম। বন্ধু ও পরিবার থেকে তাই অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিলাম। এমন কিছু যে করছি, সেটি বুঝতেই পারিনি। ব্যাপারটি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল।’

তবে এখন বেশ ভালো আছেন বলেও জানিয়েছেন ল্যানিং, ‘আদতে মানুষের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় এবং যারা সহায়তা করতে পারে, তাদের জানাতে হয়—সেটি বুঝতে শিখেছি।’