>পিএসজি জিতেছে ৫-০ গোলে। লিওঁর বিপক্ষে এই ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পে একাই করেছেন চার গোল। ম্যাচের অপর গোলটি নেইমারের। চার গোল করার পরেও ম্যাচ শেষে নিজের অতৃপ্তির কথা জানিয়েছেন এই ফরাসি টিনএজ তারকা।
লিওঁকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা খেলেছে পিএসজি। ৫-০ গোলে জিতে তারা ভেঙেছে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ৮২ বছরের পুরোনো রেকর্ড। গত ৮২ বছর ফ্রেঞ্চ লিগে আর কোনো দলই লিগের শুরুতে টানা নয় ম্যাচ জয় পায়নি। ১৯৩৬ সালে অলিম্পিক লিলোইস জিতেছিল টানা ৮ ম্যাচ। আগের ম্যাচে নিসের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়েই লিলোইসের রেকর্ডের পাশে নিজেদের বসিয়েছিল পিএসজি। কাল রেকর্ডটা পুরোপুরিই নিজেদের করে নিল নেইমার-কাভানি-এমবাপ্পের দল।
লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচের রাজা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনি হ্যাটট্রিকসহ একাই করেছেন চার-চারটি গোল। ম্যাচের শুরুতে অবশ্য নেইমারের পেনাল্টি থেকে করা গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি।
ম্যাচের নবম মিনিটেই পিএসজি এগিয়ে যায় নেইমারের পেনাল্টি গোলে। এরপর ৩১ মিনিটে পিএসজির কিমপেম্বে লিওঁর তাঙ্গুই এনদোম্বেলেকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন। প্রথমে অবশ্য রেফারি কিমপেম্বেকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভার) সহায়তায় সেই হলুদ কার্ড পরিণত হয় লাল কার্ডে। ১০ জনে পরিণত হওয়া পিএসজি খুব সাবধানে রক্ষণ সামলে খেলা শুরু করলেও প্রথমার্ধের শেষ দিকে লিওঁ নিজেদের সুবিধা হারায় তুসা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে।
দুই দলই দশজনে পরিণত হওয়ার পর পিএসজি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ভয়ংকর হয়ে ওঠে এমবাপ্পের কল্যাণেই। মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে চার গোল করেন এই ফরাসি সেনসেশন। ম্যাচের ৬১, ৬৬, ৬৯ ও ৭৪ মিনিটে এমবাপ্পের চার গোলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় লিওঁর রক্ষণভাগ।
এমবাপ্পে অবশ্য মনে করেন তিনি আরও বেশি গোল করতে পারতেন। ম্যাচ শেষে নিজের অতৃপ্তির কথাই জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। আমার আরও গোল পাওয়া উচিত ছিল।’
ক্যানাল প্লাস টেলিভিশনকে গোল করার ব্যাপারে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথাই আবার তুলে ধরেছেন এই টিনএজ তারকা, ‘আমি পরিশ্রম করে যাচ্ছি। নিজের সামর্থ্য নিয়ে আমার মধ্যে কোনো সংশয় নেই। আমি জানি আমার সতীর্থেরা সব সময়ই চায় আমি গোল করি। তারা আমাকে গোল করতে সহায়তাও করে। আমি মনে করি যতক্ষণ আক্রমণভাগের একজন খেলোয়াড় গোলের সুযোগ তৈরি করছে, ততক্ষণ সবকিছুই ঠিক আছে।