সাম্প্রতিক সময়ে মৌসুম শুরুর আগে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ব্যাপারে খুব হাঁকডাক শোনা যায়। কিন্তু খেলা শুরু হলে সব মিলিয়ে যায় হাওয়ায়। এবার বাছাইপ্রক্রিয়া শেষে শেখ রাসেল মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিদেশি খেলোয়াড় নেওয়ায় ভাবা হচ্ছিল দৃশ্যটা বদলাবে। কিন্তু স্বাধীনতা কাপে পাওয়া যাচ্ছে না সে ইঙ্গিত। শেখ রাসেলের খেলা যে মন ভরাতে পারছে না।
তবে সৌন্দর্য একপাশে রেখে শুধু মাঠের সাফল্যই যদি হয় মাপকাঠি, তাহলে শেখ রাসেল ভালোই করছে। আজ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে ২–০ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে শেখ রাসেল। জোড়া গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এইলতন মাচাদো।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল বিমানবাহিনীর বিপক্ষে জোড়া গোল করলেও তাঁর পারফরম্যান্স দর্শকদের মন ভরানোর মতো হয়নি। যত সুযোগ পেয়েছেন, তাতে হ্যাটট্রিক হতে পারত অনায়াসেই।
পর্তুগালের রুতি তাবারেজ ও এইলতনকে সামনে রেখে ৪–৪–২ ছকে একাদশ সাজিয়েছিলেন শেখ রাসেল কোচ সাইফুল বারী। দুজনের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব ছিল স্পষ্ট। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের বিশ্লেষণে গেলে দুজনের পায়ে গোল করার মতো কারিশমা সেভাবে দেখা যায়নি। ৮ মিনিটে শেখ রাসেলের এগিয়ে যাওয়া ভাগ্যক্রমে।
বক্সের বাইরে থেকে মোহাম্মদ জুয়েলের শট বিমানবাহিনীর গোলকিপার মজনু মিয়া গ্রিপে নিতে না পারায় বল ছিটকে গিয়ে পড়ে এইলতনের সামনে। টোকা দিয়ে গোলের খাতা খুললেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। ২২ মিনিটেই ব্যবধান ২–০। এবার বক্সে ঢুকে শট নিয়ে গোলটি করেছেন এইলতনই।
প্রথমার্ধেই ২–০ গোলে এগিয়ে যাওয়া শেখ রাসেল দ্বিতীয়ার্ধে কোনো গোলই করতে পারল না। ম্যাচের শেষের দিকে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি এইলতন।
বিমানবাহিনী দলে স্ট্রাইকার সুমন রেজা ও মাহুদুদ হোসেন ছাড়া পরিচিত কোনো খেলোয়াড় নেই। এমন দলই দু-একবার পরীক্ষা নিয়েছে শেখ রাসেল গোলকিপার আশরাফুল রানার।
প্রথম ম্যাচে উত্তর বারিধারার বিপক্ষে ১–০ গোলে জিতেছিল শেখ রাসেল। এক ম্যাচ হাতে রেখে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হলো তাদের। এক ম্যাচ হাতে রেখে বিমানবাহিনীর বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গেল।
গ্রুপের অন্য দুই দল শেখ জামাল ও বারিধারা। দুই দলেরই সুযোগ আছে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার। ৫ ডিসেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ শেখ রাসেল আর বারিধারার প্রতিপক্ষ বিমানবাহিনী। সমান দুই ম্যাচ খেলে জামালের পয়েন্ট ৪ আর বারিধারার ১।