Thank you for trying Sticky AMP!!

পিএসজির শিরোপা ছাপিয়ে এমবাপ্পের চোট

ট্রফি নিয়ে উদ্‌যাপন এমবাপ্পের। ছবি: এএফপি
>ফরাসি লিগের শিরোপা জিতা হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার জেতা হয়ে গেল ফরাসি কাপটাও। নেইমারের গোলে সেঁত এতিয়েনের বিপক্ষে ফরাসি কাপের ফাইনালে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি

চার মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এই প্রথম খেলতে নেমেছিল পিএসজি। নেমেই অভিজ্ঞতা হলো অম্লমধুর। নেইমারের গোলে ১-০ গোলে ফরাসি কাপের ফাইনালে সেঁত এতিয়েনকে হারিয়েছে তারা। তবে চোটে পড়ে মাঠ থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বের হয়েছেন দলের আরেক তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে।

আগামী মাসের ১২ তারিখে চ্যাম্পিয়নস লিগে আতালান্তার বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামবে প্যারিসের ক্লাবটা। তার আগে দলের অন্যতম প্রাণভোমরার এই চোট কোচের চিন্তা বাড়াবে আরও।

ম্যাচের ১৪ মিনিটেই নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডান প্রান্ত থেকে বিপজ্জনকভাবে ডি-বক্সে ঢুকে যাওয়া এমবাপ্পের এক অসাধারণ শট কোনোভাবে ঠেকিয়ে দেন এতিয়েনের গোলরক্ষক জেসি মোলিন, কিন্তু মোলিনের হাত ফসকে বের হয়ে আসা বলটাকে জালে জড়াতে ভুল করেননি নেইমার।

কাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এভাবেই দেখা গেছে এমবাপ্পেকে। ছবি: এএফপি

কিন্তু এর পর থেকেই শুরু হয় আসল ‘খেলা’। চার মাস পরে খেলতে নেমেছেন বলেই কি না, খেলোয়াড়েরা আক্ষরিক অর্থেই ম্যাচটাকে যুদ্ধ হিসেবে ভেবে নেমেছিলেন বোধ হয়। ২৯ মিনিটে এমবাপ্পের গোড়ালির ওপর বাজেভাবে ট্যাকল করেন এতিয়েনের লোইক পেরিন। ব্যস, আর যায় কোথায়! ট্যাকলটা এতই বাজে ছিল, মাঠে থাকা সব পিএসজির খেলোয়াড়েরা রেগে যান। লোইক পেরিন তো লাল কার্ড দেখেনই, তেড়ে আসার ফলস্বরূপ বেশ কয়েকজন পিএসজি তারকাকেও কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করা হয়। ওদিকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে চোখে পানি নিয়ে মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পে। কাঁদবেন না-ই বা কেন? এই চোটের কারণে মহাগুরুত্বপূর্ণ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলাটা অনিশ্চিত হয়ে গেল যে তাঁর! পরে আবারও ডাগআউটে ফিরেছিলেন এমবাপ্পে, তবে ক্রাচে করে। গতবার নেইমারের চোটের কারণে ভুগেছিল পিএসজি। এবার এমবাপ্পের চোটের কারণে একই দুর্ভাগ্য কপালে জোটে কি না, কে জানে!

বাকি ম্যাচে এই যুদ্ধংদেহী মনোভাব বজায় রেখেছিল দুই দল। দুই দল মিলে হলুদ কার্ড দেখেছেন ১০ জন খেলোয়াড়, লাল কার্ড ওই একজন। তবে ম্যাচের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় ধরে একজন বেশি নিয়ে খেলা পিএসজি আর গোল করতে পারেনি।

ম্যাচশেষে ট্রফির চেয়ে বেশি হয়তো এমবাপ্পের সুস্থতাই বেশি কামনা করবেন পিএসজির ভক্ত-সমর্থকেরা!