
মহাদেশীয় ফুটবলের ফাইনাল, ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে। দুই দলের এক দল কি রিয়াল মাদ্রিদ? তবে তো ম্যাচের ফল আগে থেকে জানা। যেভাবেই হোক ম্যাচটা রিয়াল বের করে নেবে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া যাদের ডিএনএর অংশ বলে ধরে নেওয়া হয় তারা তো আর চাপের মুখে ভেঙে পড়ে না। কিন্তু কাল সে গৌরবটা শেষ হয়ে গেছে লস ব্লাঙ্কোদের। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে ৪-২ ব্যবধানে হেরে গেছে রিয়াল।
২০০০ সালের ২৮ নভেম্বর ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের (বর্তমানের ক্লাব বিশ্বকাপ) ফাইনালে বোকা জুনিয়র্সের মুখোমুখি হয়েছিল সেবারের চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রিয়াল। সবাইকে চমকে দিয়ে রিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল বোকা। সেটাই ইউরোপ কিংবা বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে রিয়ালের সর্বশেষ হার। এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ১৩টি ফাইনাল খেলেছে রিয়াল।
বেয়ার লেভারকুসেন, ফেইনুর্দ, ওলিম্পিয়া, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (২), সেভিয়া (২), সান লরেঞ্জো, কাশিমা অ্যান্টলার্স, জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, গ্রেমিও কিংবা লিভারপুল মিলে মোট ১৩টি ফাইনাল খেলেছে রিয়ালের বিপক্ষে। অ্যাটলেটিকোই ২০১৪ ও ২০১৬ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে দুবার রিয়ালের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু দুই ম্যাচেই অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ানোর পর জয়ের হাসি হেসেছে রিয়াল। অ্যাটলেটিকো ছাড়া বাকি দলগুলোকেও রিয়ালের বিপক্ষে ১৮ বছর ধরে ব্যর্থতা মেনে নিতে হয়েছে।
গতকাল ২-২ গোলে নির্ধারিত সময় শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেই রক্ষণের ভুলে আরও দুই গোল খেয়ে বসে রিয়াল। জিনেদিন জিদান ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোবিহীন রিয়াল মাদ্রিদ তাদের প্রথম বড় পরীক্ষাটা প্রথম ম্যাচেই দিয়ে ফেলেছে। সে পরীক্ষায় ব্যর্থ তো হয়েছেই, ১৮ বছর ধরে অক্ষুণ্ন থাকা এক অনন্য রেকর্ডও খুইয়ে বসেছে।