Thank you for trying Sticky AMP!!

আইপিএল জেতার দিনে ধোনির অনন্য ইতিহাস

৩০০ টি–টোয়েন্টির অধিনায়ক ধোনি, গড়লেন ইতিহাস

সেই মহেন্দ্র সিং ধোনিই জিতে নিলেন আইপিএলের আরও একটি শিরোপা। অথচ এবারই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন তিনি। ব্যাটে ছিল না ধোনিসুলভ কারিশমা। অনেকে তো তাঁর শেষই দেখতে পাচ্ছিলেন। কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এমন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার যে খেলোয়াড়ের, তাঁর শেষটা যেন আবার ভুলে যাওয়ার মতো না হয়। চেন্নাইয়ের দল থেকে ভারতের সফলতম খেলোয়াড়টি যদি বাদ পড়ে যেতেন, সেটি হতো বড় এক ট্র্যাজিক ঘটনা। কিন্তু সেটি হয়নি। উল্টো চেন্নাইকে আরও একটি আইপিএল-শিরোপা উপহার দিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’।

ধোনি কাল টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে নিজের ৩০০তম ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন। নতুন ইতিহাস গড়লেন এ দিনেই—আইপিএল জিতে। কিন্তু কেবল আইপিএল জয়ই তাঁর নতুন ইতিহাস নয়; ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ৩০০টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করলেন। এ তালিকায় ধোনির পরেরজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। কিন্তু তিনি বড় ব্যবধানেই পিছিয়ে আছেন ধোনির চেয়ে। ধোনি যেখানে ৩০০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন, স্যামি সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০৮টি ম্যাচে।

চেন্নাইয়ের হয়ে ২১৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন ধোনি

২০০৭ সালে ধোনির নেতৃত্বেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলী, অনিল কুম্বলেহীন ভারতীয় দলকে নিজের অসাধারণ প্রজ্ঞা আর নেতৃত্বগুণে জিতিয়েছিলেন শিরোপা। সে থেকেই তিনি অন্য ধরনের শ্রদ্ধা আদায় করে নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের। সেদিন আইপিএল বলতে কিছু ছিল না ক্রিকেট দুনিয়ায়। ধোনি কি ভেবেছিলেন, দেশকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানোর পরের ১৪ বছরে হয়ে উঠবেন টি-টোয়েন্টির অবিসংবাদিত অধিনায়ক! একসময় ৩০০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ফেলবেন!

ভারতকে ২০০৭ সালে জিতিয়েছিলেন প্রথম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা

ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শেষবার ছিলেন ২০১৭ সালে। ৭২টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে দেশকে জিতিয়েছেন ৪১টি ম্যাচে। একটি টাই আছে, ফলহীন একটি ম্যাচ। আইপিএলের গোটা সময়ই প্রায় পার করে দিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। মাঝখানে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে ঝামেলায় চেন্নাই নিষিদ্ধ হলে ধোনির জায়গা হয়েছিল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টে। চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব করেছেন ২১৩টি ম্যাচে। জয় পেয়েছেন ১৩০টিতে। তবে পুনের হয়ে তাঁর অধিনায়কত্বের ইতিহাসটা খুব মনে রাখার মতো নয়। ১৪ ম্যাচে পুনেকে জেতাতে পেরেছেন মাত্র ৫টিতে।