এমন কিছু গত ২৪ বছরে দেখেনি ফুটবল–বিশ্ব!
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে এশিয়ান দলের কাছে হারতে দেখেনি ফুটবল–বিশ্ব। তবে আজ দুই যুগের সেই ইতিহাস বদলে গেল। টোকিওতে আজ প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প লিখে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে জাপান। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিলই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ গোলে জিতে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিক জাপান। ১৪ বারের চেষ্টায় ব্রাজিলের বিপক্ষে জাপানের এটিই প্রথম জয়।
ব্রাজিল আজকের আগে সর্বশেষ এশিয়ান কোনো দলের কাছে হেরেছিল ২০০১ সালে। কনফেডারেশনস কাপের সেই ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অস্ট্রেলিয়া সে সময়ে এএফসির সদস্য ছিল না, ছিল ওশেনিয়া অঞ্চলের প্রতিনিধি। ‘আসল’ এশিয়ান দলের কাছে ব্রাজিলের সর্বশেষটি হারটি খুঁজে পেতে পেছাতে হবে ১৯৯৯ সালে। এক প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল। সেই হিসেবে ২৬ বছর পর এশিয়ান দলের কাছে হারল ব্রাজিল।
ম্যাচের শুরুর দিকে ব্রাজিলকে চাপে রেখেছিল জাপান। তবে ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল ব্রাজিলই। ১০ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করার কাছাকাছি গিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। কিন্তু ডান প্রান্ত থেকে বলটাকে শুধু দূরের পোস্টের বাইরেই পাঠাতে পারেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড।
১২ মিনিট পর অবশ্য এর চেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করে জাপান। তাকেফুসা কুবো ব্রাজিলের গোলে ক্রস করেছিলেন। পা পুরোটা সামনে বাড়িয়েও বলটাকে জালে পাঠাতে পারেননি ফুট তিনেক দূরে দাঁড়ান আয়াসে উয়েদা।
এর ৪ মিনিট পরই ব্রাজিল এগিয়ে যায়। দারুণ এক বিল্ডআপ থেকে ব্রুনো গিমারাইস পাস দিয়েছিলেন ডান দিক থেকে উঠে আসা পাওলো হেনরিককে। ব্রাজিলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি হেনরিক। ৬ মিনিট পরেই ব্যবধানটা ২-০ করে ব্রাজিল। দারুণ খেলতে দলটিকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন মার্তিনেল্লি। লুকাস পাকেতা জাপানের রক্ষণের খেলোয়াড়দের মাথার ওপর দিয়ে লব দেন। বাঁ পাশ থেকে ঢুকে দারুণ ফিনিশিংয়ে কাজ সারেন মার্তিনেল্লি। প্রথমার্ধটা এই ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই শেষ করে ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭ মিনিটে ফ্যাব্রিসিও ব্রুনোর ভুলে বল পেয়ে যাওয়া তাকুমি মিনামিনো গোল করে ব্যবধান কমান। ৬২ মিনিটে কেইতো নাকামুরা সমতায় ফেরান জাপানকে। ৭১ মিনিটে তীব্র গতির এক হেডে জাপানকে এগিয়ে দেন প্রথমার্ধে গোল মিস করা উয়েদা।
গত শুক্রবার এই ব্রাজিলই দারুণ খেলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল। চার দিন পরই বদলে গেলে ভাগ্য।
কার্লো আনচেলত্তি দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্রাজিলের এটি দ্বিতীয় হার।