
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে কেনার জন্য সৌদি প্রো লিগ রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছে। একের পর এক চোখধাঁধানো অর্থ প্রস্তাবও দিয়ে যাচ্ছে তারা। জানুয়ারির শেষ দিকে ইএসপিএন জানায়, ভিনিসিয়ুসকে পেতে ৫ বছরে প্রায় ১০০ কোটি ইউরো বা ১২ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরবের ক্লাব।
এর সঙ্গে ৩০ কোটি ইউরোর দলবদল ফি তো আছেই। এমন পরিস্থিতিতে সবার আগ্রহ এখন এত বড় অঙ্কের প্রস্তাবে ভিনিসিয়ুসের অবস্থান কেমন হয়, সেদিকে। যদিও ভিনির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মোটেই সহজ নয়।
একদিকে সৌদি আরবের বিপুল অর্থের হাতছানি, অন্য দিকে রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের হয়ে সাফল্যের চূড়ায় ওঠার হাতছানি। এর মধ্যে কোনো একটাকে বেছে নেওয়া ভিনিসিয়ুসের জন্য কঠিনই হওয়ার কথা। সৌদি ক্লাবগুলো যখন ভিনিসিয়ুসকে নিয়ে এমন অনড় অবস্থানে, তখন সময়ের আগেই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর দর-কষাকষিতে নেমেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষ।
ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে রিয়ালের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। স্প্যানিশ ক্লাবগুলো সাধারণত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর আগে থেকে নবায়ন নিয়ে দর-কষাকষিতে নামে। কিন্তু ভিনিসিয়ুসের জন্য নিজেদের সেই ধারা থেকে সরে এসেছে রিয়াল।
এবার তারা আরেকটু বেশি সময় হাতে নিয়ে দর-কষাকষিতে নেমেছে। যাতে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছানো যায়।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, ভিনিসিয়ুসের প্রতিনিধির সঙ্গে এরই মধ্যে আলাপ শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে রিয়াল। বেতন–ভাতাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে দ্রুত আলাপ চূড়ান্ত করতে চায় তারা। সূত্র অবশ্য পুরো বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছে বলেও জানিয়েছে। আর ভিনিসিয়ুসের প্রতিনিধিরাও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব পাননি।
এদিকে ভিনিসিয়ুস যে বর্তমান চুক্তি নিয়ে খুশি নন, সেটিও নিশ্চিত করেছেন ভিনিসিয়ুসের প্রতিনিধিরা। তা ছাড়া তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্তেও পৌঁছাতে চান না তিনি। আরেক সংবাদমাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিক অবশ্য এরই মধ্যে ভিনিসিয়ুসকে রিয়ালের চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে রিয়ালের প্রস্তাবিত অর্থ ভিনিসিয়ুসের প্রতিনিধিদের কাছে একেবারেই যথেষ্ট মনে হয়নি।
এর আগে গত মাসে ভিনিসিয়ুস বলেছিলেন, তিনি আরও অনেক দিন রিয়ালে থাকতে চান। নিজের এমন ইচ্ছার কথা জানিয়ে সে সময় ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘আমার জন্য ১০০ গোলে পৌঁছানো এবং ক্লাবের ইতিহাসের অংশ হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ এখন শেষ পর্যন্ত অর্থের হাতছানি দূরে ঠেলে ভিনিসিয়ুস ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতে চান কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।