Thank you for trying Sticky AMP!!

লিভারপুলের আরেকটি হতাশার মুহূর্ত

লিভারপুলের বড় হার, এই দলকে ক্লপও চেনেন না

লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট খোয়ানোর রেশ এখনো কাটেনি, এর মধ্যে ইউরোপা লিগেও বড় ধাক্কা খেল লিভারপুল। কাল রাতে ইউরোপা কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আতালান্তার কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। আর সেটা নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডেই!

ম্যাচের পর ক্লপ বলেছেন, লিভারপুলের খেলা একটা পর্যায়ে এতটাই ছন্নছাড়া ছিল, তিনি নিজেই চিনতে পারছিলেন না এটা তাঁর দল। এখনো দ্বিতীয় লেগ বাকি থাকায় এখনই ইউরোপা লিগ থেকে ছিটকে পড়েনি লিভারপুল। তবে অ্যানফিল্ডে অপরাজেয়-যাত্রা থেমে গেল ১৪ মাস পর।

রোববার প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ছয় পরিবর্তন নিয়ে দল নামিয়েছিলেন ক্লপ। শুরুটা ভালোও করেছেন প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে গোলের ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দারউইন নুনিয়েজ বল লক্ষ্যে রাখতে না পারলে সেটা নষ্ট হয়। ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আতালান্তা। যার শুরুটা হয় ৩৮ মিনিটে জিয়ানলুকা স্কামাকার গোলে।

প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহাম্মদ সালাহ, দমিনিক সোবোসলাইদের বদলি করেন লিভারপুল কোচ। পরে নামান লুইস দিয়াজ, দিয়েগো জোতাদেরও। কিন্তু লিভারপুল আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। সালাহর একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়।

আতালান্তার হয়ে জোড়া গোল করেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার জিয়ানলুকা স্কামাকা

ম্যাচে আতালান্তার দ্বিতীয় গোলটি আসে ৬০ মিনিটে, গোলদাতা সেই স্কামাকাই। ৮৩ মিনিটে লিভারপুলের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মারিও পাসালিচ। লিভারপুল ঘরের মাঠে ম্যাচ হারল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম। আর গোল ব্যবধানের দিক থেকে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় লিগগুলোর মধ্যে ঘরের মাঠে যৌথভাবে সবচেয়ে বড় হার এটি। এর আগে অ্যানফিল্ডে ২০১৪ সালে ৩-০ এবং ২০২৩ সালে ৫-২ ব্যবধানে হেরেছে লিভারপুল, দুটিই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে।

Also Read: সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইও জমেছে বেশ

স্বাভাবিকভাবেই আতালান্তার বিপক্ষে এমন হারে ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেন ক্লপ। মৌসুম শেষে অ্যানফিল্ড ছাড়তে যাওয়া এই জার্মান বলেন, ‘খুবই বাজে একটা ম্যাচ খেলেছি। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। খুবই ভালো। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারিনি। ওরা গোল করেছে আর আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। মাঝমাঠে আমরা এখানে-সেখানে খেলেছি। আমিই চিনতে পারিনি।’

আরও একটি গোল হজম লিভারপুলের, কারোওই কিছু করার নেই!

ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠতে হলে লিভারপুলকে এখন পরের লেগে অন্তত ৪-০ ব্যবধানে জিততে হবে। লিভারপুলের শেষ চারের স্বপ্ন টিকে আছে কি না, জিজ্ঞেস করলে ক্লপ বলেন, ‘সেটা এখনই বলার সময় নয়। এক সপ্তাহ পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবার অবস্থায় আমি নেই। এর মাঝে আমাদের আরও একটি ম্যাচ (লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে) আছে। অবশ্যই জেতার চেষ্টা করব। আমরা তো জিততেই চাই।’

Also Read: বিশ্বকাপে ‘হইচই’ ফেলা সেই প্রযুক্তি এবার প্রিমিয়ার লিগে

লিভারপুল হারলেও ইউরোপা লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে জয় পেয়েছে বায়ার লেভারকুসেন। নিজেদের মাঠে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হামকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মান ক্লাবটি। লেভারকুসেনের হয়ে গোল দুটি করেন জোনাস হফমান ও ভিক্টর বোনিফেস। অন্য দুটি ম্যাচের মধ্যে বেনফিকা ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মার্শেইকে, রোমা ১-০ ব্যবধানে এসি মিলানকে।

Also Read: লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার খবর অস্বীকার আমোরিমের