২০২৬ বিশ্বকাপের এখন আর এক বছরও বাকি নেই। এর মধ্যে ধীরে ধীরে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেদের পরিকল্পনা গোছাতে শুরু করেছে দলগুলো। নানা নাটকীয়তার পর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোয় আয়োজিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অভিজ্ঞ কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে।
ইতালিয়ান এই কোচ আসার পর প্রাসঙ্গিকভাবে বারবার আলোচনায় এসেছে নেইমারের নাম। চোটজর্জর নেইমারকে নিয়ে আনচেলত্তির পরিকল্পনা কী হবে, সেদিকেই ছিল সবার চোখ। নিজের প্রথম দলে ফিটনেসের কারণে না রাখলেও সম্প্রতি নেইমারকে ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন আনচেলত্তি।
তবে আনচেলত্তি চাইলেও ব্রাজিলের ৪১ শতাংশ মানুষ চান না নেইমার বিশ্বকাপে খেলুক। ব্রাজিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনমত জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডাটাফোলা’র এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য।
৪১ শতাংশের না চাওয়ার বিপরীতে ৪৮ শতাংশ অবশ্য নেইমারকে বিশ্বকাপ দলে চান। জরিপ অনুযায়ী, ৭ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না এবং ৩ শতাংশ বলেছেন, এ বিষয়ে কী মত দেওয়া উচিত, তাঁরা তা বুঝতে পারছেন না।
তবে এই চিত্র ব্যাপকভাবে বদলে গেছে ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে করা জরিপে। এই অংশের মধ্যে ৫৩ শতাংশ নেইমারকে দলে ডাকার বিপক্ষে, আর পক্ষে ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ তরুণেরা নেইমারকে ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মনে করলেও বয়স্করা তেমনটা ভাবছেন না। ধারণা করা হচ্ছে, চোটসমস্যা, মাঠে বাইরের আচরণ এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বয়স্কদের ভাবনাকে প্রভাবিত করেছে।
ডাটাফোলার এই জরিপে অংশ নেন ১৬ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী ২০০৪ জন ব্রাজিলিয়ান নাগরিক। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হয় দেশের সব অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১৩৬টি শহর থেকে। জরিপটি পরিচালিত হয় ১০ ও ১১ জুন।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল পরের ম্যাচ খেলবে আগামী সেপ্টেম্বরে। যেখানে চিলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে এবং বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলবে প্রতিপক্ষের মাঠে। এ ম্যাচ দুটি দিয়ে নেইমার দলে ফিরতে পারেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।