Thank you for trying Sticky AMP!!

মরক্কোকে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স

সেই ফ্রান্সের কাছে হেরেই এবার ছিটকে গেল মরক্কো

ছেলেদের বিশ্বকাপে দারুণ নৈপুণ্যে সবাই চমকে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল মরক্কো। সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনাল খেলার স্বপ্নও দেখেছিল তারা। কিন্তু ভালো খেলেও সেদিন শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি আশরাফ হাকিমি–হাকিম জিয়েশরা। ২–০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় শেষ চার থেকেই। এবার নারী বিশ্বকাপেও নকআউটে সেই ফ্রান্সকে সামনে পেয়েছিলেন মরক্কোর মেয়েরা। তবে এ দুই দল আজ সেমিতে নয়, মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে। কিন্তু পুরুষদের সেই হারের প্রতিশোধ নিতে পারেননি মরক্কোর মেয়েরা। উল্টো ৪–০ গোলের বড় হারে বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলো থেকেই।

প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপ খেলতে আসা মরক্কোর শুরুটা একেবারেই ভালো ছিল না। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জার্মানির কাছে ৬–০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে তারা। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে চমক দেখায় তারা। দক্ষিণ কোরিয়া এবং কলম্বিয়াকে হারিয়ে উঠে যায় শেষ ষোলোয়। কিন্তু স্বপ্নযাত্রাটাকে আর বড় করতে পারেনি তারা। ফ্রান্সের কাছে বড় হারেই শেষ হলো মরক্কোর বিশ্বকাপ মিশন। অন্যদিকে মরক্কোকে বিদায় করে টানা তৃতীয়বারের মতো শেষ আটের টিকিট পেল ফ্রান্স।

Also Read: প্রথম গোলেই বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল মরক্কো

অ্যাডিলেডের হিন্ডমার্শ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ২৩ মিনিটের মধ্যে খেলা একরকম শেষ করে দেয় ফ্রান্স। এই সময়ের মধ্যে তারা মরক্কোর জালে বল জড়ায় তিনবার, যার শুরুটা হয় ম্যাচের ১৪ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। সেলমা বাছার কাছ থেকে বল পেয়ে বাইলাইন থেকে ক্রস করে ডি–বক্সের ভেতর ফাঁকা জায়গায় থাকা কাদিদিয়াতু দিয়ানিকে বল পাঠান সাকিনা কারসাউই। অরক্ষিত দিয়ানি হেডে বলকে জালের ঠিকানা দেখিয়ে এগিয়ে দেন দলকে।

এই গোলের রেশ কাটার আগেই দ্বিতীয়বারের মতো লিড নেয় ফ্রান্স। এবারের গোলটি আসে ডান প্রান্ত দিয়ে গড়া এক আক্রমণ থেকে। এবার দিয়ানির কাছ থেকে বল পেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে ২–০ গোলে এগিয়ে দেন কেনজা দালি।
তিন মিনিট পর স্কোরশিটে নাম লেখান ইউজিনি লে সোমের।

ভিকি বেচোর সঙ্গে গোল উদ্‌যাপন করছেন ইউজিনি লে সোমের

দুই গোল খেয়ে খেই হারিয়ে ফেলা মরক্কো নিজেদের রক্ষণের ভুলের কারণেই হজম করেছে এই গোল। বাইলাইনে মরক্কোর ডিফেন্ডার নেসরিন এল চাদ বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সেটি চলে আসে অরক্ষিত ইউজিনির কাছে। ঠান্ডা মাথায় বলকে জালে জড়িয়ে দেশের হয়ে নিজের ৯১তম গোলটি আদায় করে নেন ইউজিনি।

দ্রুত তিন গোল হজম করার পর বড় হারের শঙ্কায় পড়ে মরক্কো। তবে একটু দেরিতে হলেও যেন ঘুম ভাঙে তাদের। আক্রমণে গিয়ে নিজেরা কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও, ফ্রান্সকে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল করতে দেয়নি আফ্রিকান দেশটি। ৩–০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া ফ্রান্সের দাপটেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। এই অর্ধে ৭৫ শতাংশ বলের দখল রেখে ৭টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখে ফ্রান্স। অন্যদিকে ২৫ শতাংশ বলের দখল রাখা মরক্কো কোনো শটই নিতে পারেনি।

বিরতির পর কিছুটা গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে মরক্কো। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি দুই–একবার আক্রমণেও যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু ফ্রান্সের রক্ষণকে খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা। উল্টো ৭০ মিনিটে আরও ১ গোল হজম করে বসে মরক্কো।

Also Read: জার্মানির হৃদয় ভাঙল কোরিয়া, মরক্কোর ইতিহাস

বদলি নামা ভিকি বেচোর ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্য ভেদ করে ব্যবধান ৪–০ করার পাশাপাশি নিজেদের দ্বিতীয় গোলটিও আদায় করে নেন ইউজিনি। এই চার গোলের বড় ব্যবধানে পাওয়া জয় নিয়েই শেষ পর্যন্ত শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। শেষ আটে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।

নারী ফুটবল বিশ্বকাপ

কোয়ার্টার ফাইনালের লাইনআপ

স্পেন–নেদারল্যান্ডস
১১ আগস্ট, শুক্রবার
সকাল ৭টা

জাপান–সুইডেন
১১ আগস্ট, শুক্রবার
বেলা ১টা ৩০ মিনিট

অস্ট্রেলিয়া–ফ্রান্স
১২ আগস্ট, শনিবার
বেলা ১টা

ইংল্যান্ড–কলম্বিয়া
১২ আগস্ট, শনিবার
বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট