Thank you for trying Sticky AMP!!

মেসির হতাশ মুখটাই যেন পিএসজির পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি

পিএসজির বিদায় ঠেকাতে পারেননি মেসি-নেইমারও

ফ্রেঞ্চ কাপ থেকে পিএসজির বিদায় ঠেকাতে পারেননি লিওনেল মেসি ও নেইমারও। দুই শীর্ষ তারকাকে সঙ্গে নিয়ে মার্শেইয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে পিএসজি। এদিন শুরু থেকেই পিএসজিকে চাপ রাখে মার্শেই। সেই চাপ পেছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি মেসি-নেইমাররা। হতাশার এক হারে একটি শিরোপা-সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল প্যারিসের এই পরাশক্তিদের।

প্রতিপক্ষের মাঠে কিলিয়ান এমবাপ্পে না থাকলেও মেসি-নেইমারকে নিয়েই ম্যাচ শুরু করে পিএসজি। লিগ ‘আ’তে শিরোপার লড়াইয়ে থাকা দুই দলের লড়াইয়ে অবশ্য স্বাগতিক মার্শেইয়ের কাছে প্রথমার্ধে পাত্তা পায়নি পিএসজি। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণে চোখ রেখে পিএসজিকে চাপে ফেলে মার্শেই।

Also Read: ৫ম শিরোপার খোঁজে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে রিয়াল

তবে ভালো খেলেও এই অর্ধে একটির বেশি গোল আদায় করতে পারেনি মার্শেই। কিছু কৃতিত্ব অবশ্য পিএসজি গোলরক্ষক দুন্নারুম্মাকেও দিতে হবে। দারুণ কিছু গোল বাঁচিয়েছেন এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক।

এর মাঝেই মার্শেইকে ৩১ মিনিটে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে দেন সানচেজ। ডি-বক্সের ভেতর সের্হিও রামোস তুরস্কের উইংগার চেনজিগ উনডেরকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় মার্শেই। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন অ্যালেক্সিস সানচেজ।

তবে সেই পেনাল্টি গোলে পাওয়া লিড অবশ্য ধরে রাখতে পারেনি মার্শেই। যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে নেইমারের সহায়তায় হেডে গোল করে পিএসজিকে সমতায় ফিরিয়ে দায় শোধ করেন রামোস। সমতাতে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

রামোসের এই উদ্‌যাপন শেষ পর্যন্ত আর থাকেনি

বিরতির পর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জম ওঠে লড়াই। উভয় দল এ সময় চেষ্টা করছিল গোল আদায় করার। মেসি-নেইমাররা না পারলেও, পেরেছেন মার্শেই তারকা রোসলান মিলানোভস্কি। ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন এই ইউক্রেনীয় তারকা।

Also Read: উদ্‌যাপনে বাড়াবাড়ি নিয়ে আর্জেন্টিনার সমালোচনার বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মেসি

পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে উন্মুখ হয়ে ওঠে পিএসজি। এ সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কিছু আক্রমণ শানায় ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল। তবে প্রয়োজনীয় গোলটি কোনোভাবেই মিলছিল না। অবশ্য মেসি-নেইমারদের জন্য খুব বেশি জায়গাও যে মার্শেই ছেড়ে দিচ্ছিল তা নয়।

বারবার তাই পিএসজির আক্রমণগুলো ভেস্তে যাচ্ছিল অ্যাটাকিং থার্ডে এসে। শেষ দিকে চাপ বাড়িয়ে জোর চেষ্টা করেছিল পিএসজি। তবে অনেক প্রচেষ্টাতেও আর কোনো গোল না পেলে শেষ ষোলোতেই ফ্রেঞ্চ কাপের যাত্রা শেষ হয় পিএসজির।

Also Read: মার্তিনেজের সেই সেভের গুরুত্ব ‘বোঝেননি’ মেসি