
শেষ বাঁশির ঠিক আগমুহূর্তে ভারতের জালে বল জড়িয়েই উল্লাসে মেতে ওঠেন ইহসান হাবিব। ২–১ গোলে এগিয়ে থাকা ভারতের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে!
স্কোরলাইন ২–২ করে বাংলাদেশ নতুন করে আশায় বুক বাঁধে। কিন্তু আজ কলম্বোয় সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ ফুটবলের ফাইনালে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৪–১ ব্যবধানে।
গত বছরও সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ ফুটবলের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। শুধু সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ নয়, বয়সভিত্তিক সাফে টানা চতুর্থবার ভারতের কাছে ফাইনালে হারল বাংলাদেশ। সর্বশেষ হার, ভারতের অরুণাচলে গত মে মাসে সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ সাফের ফাইনালে টাইব্রেকারে। পরপর দুটি বয়সভিত্তিক সাফের ফাইনালে হার বাংলাদেশের জন্য হতাশারই।
কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে আজ অনূর্ধ্ব–১৭ সাফের ফাইনালের চতুর্থ মিনিটেই গোল খেয়েছে বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর থেকে দারুণ শটে ১–০ করেন ভারতের দালামুয়োন গাত্তি। গোল খেয়ে কিছুটা গুছিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ২৫ মিনিটে নাজমুলের কর্নার থেকে হেডে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান মোহাম্মদ মানিক।
এই সমতা অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি গোলাম রব্বানীর দল। ৩৮ মিনিটে ভারতের আক্রমণ থামাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি বাংলাদেশ গোলকিপার আলিফ রহমান। আলিফের হাত ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল ফিরতি শটে ২–০ করেন আজলান শাহ। গোললাইনে দাঁড়িয়ে সেই শট রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি ইকরামুল ইসলাম।
দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। সুযোগ তৈরি করতে এগিয়ে ছিল লাল–সবুজের ছেলেরা। তবে ভারতের কড়া পাহারার কারণে বারবার হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। ৫১ মিনিটে নাজমুলের শট পোস্টে লেগেছে। ৫৫ মিনিটে সাব্বির ইসলাম সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। তাঁর শট পোস্টের পাস ঘেঁষে চলে যায়। যোগ করা পাঁচ মিনিটের শেষ মিনিটে সাব্বির ইসলামের লম্বা থ্রো থেকে দারুণ শটে নাটকীয়ভাবে স্কোরলাইন ২–২ করেন ইহসান হাবিব।
এরপর টাইব্রেকারে শুরু থেকেই খেই হারায় বাংলাদেশ। পরপর দুই শট মিস করায় ম্যাচটা হাতছাড়াই হয়ে যায়। প্রথম শট ইকরামুল ইসলাম ক্রসবারে মারেন। দ্বিতীয় শট নিতে আসা আজম খান ভারতের গোলকিপারের হাতে তুলে দেন।