
দেড় বছর আগের স্মৃতিও ফিরে এলো এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে। ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল বার্সেলোনার অস্থায়ী ডেরায় বার্সাকে বিধ্বস্ত করে ৪–১ গোলে জিতেছিল পিএসজি। প্যারিস থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগটা ৩–২ গোলে জিতে এসেও তাই বিদায়ঘণ্টা বেজেছিল বার্সার।
এরপর বদলে গেছে কতকিছু। চ্যাম্পিয়নস লিগ এখন ৩৬ দলের। বদলে গেছে কাঠামোও। কিন্তু দেড় বছর পর আবার যখন সেই বার্সেলোনা ও পিএসজি মুখোমুখি এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে, জিতল সেই পিএসজিই। লিগ পর্বের ম্যাচটি অতিথিরা জিতেছে ২–১ গোলে।
১৯ মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সাই। ৩৮ মিনিটে মায়ুলুর গোলে সমতায় ফেরায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। ৯০তম মিনিটে প্যারিসের দলটিকে জয় এনে দেন বদলি খেলোয়াড় গনসালো রামোস।
অথচ ম্যাচ শুরুর আগে একটু হলেও পিছিয়ে ছিল পিএসজি। দলটি আজ খেলেতে হয়েছে বড় তারকাদের ছাড়াই। ব্যালন ডি’অরজয়ী উসমান দেম্বেলে, উইঙ্গার খিচা কাভারেস্কাইয়া ও রক্ষণভাগের মূল সৈনিক অধিনায়খ মার্কিনিওস চোটের কারণে ছিলেন না দলে। ছিলেন না নতুন তারকা দেজিরে দুয়েও।
বার্সেলোনা ম্যাচ শুরুতেই আক্রমণাত্মক খেলায় চাপ সৃষ্টি করেছিল। ১৯তম মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ড বক্সের মধ্য দিয়ে নিখুঁত পাস দিলেন ফেরান তোরেসের কাছে, যিনি অফসাইড ফাঁদ ফাঁকি দিয়ে পিএসজির গোলকিপার লুকাস শেভালিয়েকে পরাস্ত করে গোল করেন।
তবে পিএসজি মনোবল হারায়নি। শুরুর দিকে বার্সার প্রাধান্য থাকলেও তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় এবং ৩৮তম মিনিটে সমতা ফেরায়। নুনো মেন্দেস বাঁ দিক দিয়ে দারুণ এক দৌড়ে তিন ডিফেন্ডারকে ছাড়িয়ে সেনি মায়ুলুকে পাস দেন, সেই পাস ধরে ঠান্ডা মাথায় গোল করেছেন ১৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
৮৩তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা লি কাং-ইনের শট পোস্টে লাগে। শেষ পর্যন্ত ৯০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে পিএসজি জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায়। আশরাফ হাকিমির ক্রস থেকে কাছ থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন রামোস।
দুই ম্যাচের দুটিতেই জেতা পিএসজি গোল ব্যবধানে আছে তিনে। তাদের ওপরে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। আর প্রথম হারে ১৬ নম্বরে নেমে গেল বার্সা।