সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুই লেগের একটিতেও গোল পাননি। গোল পাননি ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ফাইনালেও। এই তিন ম্যাচে কোনো গোলে সহযোগিতাও নেই তাঁর। তারপরও এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা আর্লিং হলান্ড। ১১ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল। শিরোপা জিতেছে তাঁর দল ম্যানচেস্টার সিটি।
সেমিফাইনাল-ফাইনালে গোল না পাওয়া নিয়ে এখন নিশ্চয়ই আর কোনো আক্ষেপ নেই হলান্ডের। আসল যে লক্ষ্য, সিটিকে চ্যাম্পিয়ন বানানো, সেখানে তো সফল তিনি। এ কারণেই তাঁকে কিনেছিলেন সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ারম্যান খালদুন আল মোবারকের কাছে এই ট্রফি এনে দেওয়ারই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন হলান্ড।
হলান্ডের সেই প্রতিজ্ঞার কথা এত দিন পরে জানিয়েছেন খালদুন আল মোবারক নিজেই। সিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে হলান্ডকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানাতে গিয়ে মোবারক বলেছেন, ‘সে (হলান্ড) আমাদের দলে কী অসাধারণ সংযোজন! ও চুক্তি সই করার পর আমার সঙ্গে তার প্রথম আলাপের কথা মনে পড়ছে। আমি ওর আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। ও বিশেষ এক খেলোয়াড়। চুক্তি সই করার পর আপনার চেয়ারম্যানকে বলতে পারা, “মিস্টার চেয়ারম্যান, আমি আপনাকে চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দেব, আমি সিটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতেই এসেছি”, এটাই বুঝিয়ে দেয় তার বিশেষত্ব।’
সিটির হয়ে প্রথম মৌসুমেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে ৫২ গোল করেছেন হলান্ড। ৩৬ গোল করে হয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা। জিতেছেন মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার। চ্যাম্পিয়নস লিগে স্পর্শ করেছেন এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৫ গোলের রেকর্ড।
প্রথম মৌসুমেই যিনি এত এত রেকর্ড গড়েছেন, তাঁকে নিয়ে মোবারকের প্রত্যাশাও স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি, ‘হলান্ডের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হচ্ছে সে একজন চ্যাম্পিয়ন। ১ গোল করুক বা কোনো গোল না করুক, ২ গোল করুক বা ৫ গোল, ও কখনো সন্তুষ্ট হয় না। আমার মনে আছে, এক ম্যাচে ৫ গোল করার পর ও আমাকে বলেছিল, “আমার আরও ৩-৪টা গোল করা উচিত ছিল” এবং সে এই কথাটা রসিকতা করে বলেনি। ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এটা ওর মাত্র শুরু। ও কী করতে পারে, সেটা কল্পনা করা যায় না।’
শেষের কথাটা সিটির প্রতিপক্ষ দলগুলো হুমকি হিসেবে নিতে পারে।