গত মৌসুমটা যে ছন্দে শেষ করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, এবার শুরুটাও হলো সেই একই ছন্দে। লা লিগায় নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই গোল পেলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। আর ম্যাচের ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা তাঁর একমাত্র গোলেই ওসাসুনার বিপক্ষে জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার মতোই পুরো ৩ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হলো রিয়ালের নতুন মৌসুম। রিয়ালের কোচ হিসেবে লা লিগায় অভিষেকটাও জয়েই হলো জাবি আলোনসোর।
নতুন কোচের অধীনে রিয়ালের একাদশ কেমন হয় সেটা দেখার অপেক্ষা ছিল। ক্লাব বিশ্বকাপে পিএসজির কাছে ৪-০ গোলে হারা ম্যাচের দল থেকে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছেন আলোনসো। নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলেননি আন্টোনিও রুডিগার। চোটে ছিলেন জুড বেলিংহাম, এনদ্রিক আর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। হাঁটুর চোট থেকে সেরে উঠে প্রথমবার মাঠে নামেন এদের মিলিতাও। লা লিগায় অভিষেক হলো হাউসেনের। শুরুর একাদশে জায়গা পেলেন ব্রাহিম দিয়াজ ও ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডও। নতুন মুখ কারেরাস খেললেন রিয়ালের হয়ে প্রথম ম্যাচ।
বার্সেলোনা এবার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মায়োর্কাকে হারিয়েছে। ফলে রিয়ালের জন্য এই ম্যাচ জেতা ছিল অনেকটা ‘বাধ্যতামূলক’। তাই শুরুর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রমণ শুরু করে দেয় আলোনসোর দল। প্রথম ৪ মিনিটেই রিয়ালের খেলোয়াড়রা ৫৪টি পাস খেললেন। ওসাসুনা খেলতে পারল মাত্র ৬টা। অতিথিদের পাঁচ ডিফেন্ডার তখন ভীষণ চাপে।
তবে এত দাপটের পরও রিয়াল গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না খুব একটা। এমবাপ্পের দুর্দান্ত এক দৌড় থামিয়ে দেন ওসাসুনার এনজো বয়োমো। হাউসেন ও মিলিতাও দূর থেকে নেওয়া শটে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ওসাসুনা গোলরক্ষক সের্হিও হেরেরা ঠেকিয়ে দেন। প্রথমার্ধে তাই ৭৯ শতাংশ বলের দখল রেখেও গোলের দেখা পেল না রিয়াল।
বিরতির পর অবশ্য ম্যাচের ছবি পাল্টায়। ৫০ মিনিটে এমবাপ্পেকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ওসাসুনার হুয়ান ক্রুজ। পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন গত মৌসুমে ৩৪ ম্যাচে ৩১ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া এমবাপ্পে।
গোল খাওয়ার পর কিছুটা খোলস ছেড়ে বের হয় ওসাসুনা। ৬৩ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ সাজায় অতিথিরা। প্রায় সমতা এনেই ফেলেছিলেন আবেল ব্রেতোনেস। তবে শেষ মুহূর্তে বেঁচে যায় রিয়াল।যোগ হওয়া সময়ের তৃতীয় মিনিটে গার্সিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ওসাসুনার আবেল ব্রেতোনেস। ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে সব আশা শেষ হয়ে যায় ওসাসুনার। আর টানা ১৭ মৌসুম ধরে লা লিগায় প্রথম ম্যাচে না হারার রেকর্ড ধরে রাখল রিয়াল—১২ জয়, ৫ ড্র।