শেষ বাঁশি বাজার পর ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরলেন লিওনেল মেসি। বেশ দ্রুততার সঙ্গে গটগট করে হেঁটে চলে গেলেন ড্রেসিংরুমে। চোখেমুখে হতাশা স্পষ্ট। ফেরার পথে কারও সঙ্গে হাত মেলানো কিংবা শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেননি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল না পাওয়ায় কি মনটা ভালো ছিল না? সেটা হতেও পারে আবার না–ও পারে। তবে দলের হারে যে মন ভার ছিল, সেটা স্পষ্ট। মেসি মাঠে থাকতেও আট গোলের থ্রিলারে শেষ পর্যন্ত হেরেছে তাঁর দল ইন্টার মায়ামি।
ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে আজ সকালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে মায়ামিকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো এমএলএসের প্লে–অফ নিশ্চিত করেছে শিকাগো ফায়ার। এই হারে টানা দ্বিতীয় এমএলএস সাপোটার্স শিল্ড জয়ের সুযোগ সম্ভবত হারাল মায়ামি। ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন নিজেদের শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে সাপোটার্স শিল্ড জিতবে। ৩২ ম্যাচে ফিলাডেলফিয়ার সংগ্রহ ৬৩ পয়েন্ট। ৩১ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ মায়ামি নিজেদের শেষ তিন ম্যাচ জিতলেও ৬৫–এর বেশি পয়েন্ট হবে না।
৩-১ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে আগেই এমএলএসের প্লে–অফ নিশ্চিত করা মায়ামি। ১১, ৩১ ও ৪৩ মিনিটে শিকাগোর হয়ে গোল করেন ডি’আভিলা, জোনাথন ডিন ও রোমিনিগুয়ে কৌয়ামে। মায়ামির হয়ে ৩৯ মিনিটে গোল করেন রোমান আভিলেস। বিরতির পর লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মায়ামি। ৫৭ ও ৭৪ মিনিটে গোল করেন উরুগুয়ে কিংবদন্তি। কিন্তু ৮০ মিনিটে জাস্টিন রেনল্ডসের গোল এবং এর ৩ মিনিট পর ব্রায়ান গুতিরেজের দূরপাল্লার বিশ্বমানের গোলে জয় তুলে নেয় শিকাগো।
প্রথমার্ধে মেসির একটি শট পোস্টে লাগে। দুটি ফ্রি কিকও পেয়েছিলেন এই অর্ধে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানো বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে যেভাবে খেলতে চেয়েছি, সেই পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। এই হারের দায় সম্পূর্ণভাবে আমার। আমরা ভেবেছিলাম ম্যাচটা একরকম হবে, কিন্তু হয়েছে অন্য রকম। এটার সঙ্গে খেলোয়াড়দের কোনো সম্পর্ক নেই। খারাপ খেলার দায়টা আমার আর এটা বলতে ভয়েরও কিছু নেই।’