Thank you for trying Sticky AMP!!

গতকাল রাতে আল নাসরের হয়ে রেকর্ড গড়েন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

১২০০ ছুঁলেন রোনালদো, সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড কতদূর

‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ১২০০তম পেশাদার ম্যাচ খেললেন’—সৌদি প্রো লিগের ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে গতকাল রাতে এ পোস্ট করা হয়। আল নাসরের হয়ে গত রাতে পেশাদার ক্যারিয়ারে মাইলফলকটির দেখা পান রোনালদো।

৪-১ গোলের জয়ে নিজে গোল করার পাশাপাশি একটি গোল করিয়ে মুহূর্তটি স্মরণীয়ও করে রেখেছেন পর্তুগিজ তারকা। অবশ্য এমন সব মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখা রোনালদোর জন্য নতুন কিছু নয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পেশাদার ক্যারিয়ারে নিজের ১০০০তম ম্যাচেও গোল করেছিলেন রোনালদো। সেটি ছিল জুভেন্টাসের হয়ে এসপিএলের বিপক্ষে ম্যাচে।

Also Read: কত টাকা পেলে হেঁটে সৌদি আরব যাবেন আনচেলত্তি

স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে ২০০২ সালের ১৪ আগস্ট পেশাদার ফুটবলে অভিষেক রোনালদোর। অর্থাৎ পেশাদার ফুটবলে তাঁর প্রায় ২২ বছর হয়ে গেল। এ সময় জাতীয় দলের পাশাপাশি পাঁচটি ক্লাবের হয়ে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন ৩৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ কিংবদন্তি।

পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অন্তত ২০০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন আগেই। জাতীয় দলে সর্বোচ্চ গোলের (১২৮) রেকর্ডও তাঁর। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শীর্ষ স্তরের ফুটবলে ৮০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলার রেকর্ডও গড়েন ২০২১ সালে। গতকাল রাতে সেটি ৮৬৮-তে উন্নীত হয়েছে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর সর্বোচ্চ ম্যাচ (১৮৩) খেলার রেকর্ডও ভুলে গেলে চলবে না।

পেশাদার ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডগড়া পিটার শিলটন

এখন প্রশ্ন হলো, পেশাদার ফুটবলে রোনালদোই কি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেললেন? সংক্ষেপে উত্তর হচ্ছে, না। তাহলে ছেলেদের পেশাদার ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড কার?

Also Read: মাইলফলকের ম্যাচে দলকে জিতিয়ে রোনালদো বললেন, ‘কাজ এখনো শেষ হয়নি’

পিটার শিলটন। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে (১৯৮২, ১৯৮৬ ও ১৯৯০) খেলা সাবেক এই গোলকিপার নটিংহাম ফরেস্টের হয়ে টানা দুবার জিতেছেন ইউরোপিয়ান কাপ। তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার টিকেছে ৩০ বছর। ১৯৬৬ সালে লেস্টার সিটির হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর পর আরও ১০টি ক্লাবের হয়ে খেলে ১৯৯৭ সালে লেটন ওরিয়েন্টে থাকতে গ্লাভস তুলে রাখেন শিলটন।

ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি (১২৫) ম্যাচ খেলার রেকর্ডধারী শিলটন তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারে ১৩৮৭ ম্যাচ খেলেছেন। তবে কোনো কোনো ওয়েবসাইটের দাবি—শিলটন ১৩৯০ ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু শিলটন নিজে তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন, তিনি ১৩৮৭ ম্যাচ খেলেছেন। ছেলেদের পেশাদার ফুটবলে আর কেউ এত বেশি ম্যাচ খেলেননি। শিলটন যে ১১টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন, এর মধ্যে ৫টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ন্যূনতম ১০০টি করে ম্যাচ।

পেশাদার ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় দ্বিতীয় ফুটবলারটিও একজন গোলকিপার। তবে শিলটনের মতো খ্যাতিমান কেউ নন। তিনি ১৯৮৮ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর পর এখনো খেলে চলা পল বাস্টক। এখন খেলছেন আধা পেশাদার দল বোস্টন ইউনাইটেডে। ২০টির বেশি ক্লাবে খেলা বাস্টক এ পর্যন্ত ১২৮৬ ম্যাচ খেলেছেন বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’। শীর্ষ পাঁচে পরের খেলোয়াড়টিও গোলকিপার।

তবে তাঁকে শুধু গোলকিপার বললে ভুল হবে। কারণ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের হিসাবে তিনি গোলকিপারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা! এবার নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন তিনি ব্রাজিলের সাবেক গোলকিপার রোজেরিও চেনি। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, ৫০ বছর বয়সী চেনি তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারে ১২১২ ম্যাচ খেলেছেন।

Also Read: মেসির মায়ামি আসছে এশিয়ায়

এ তালিকায় চতুর্থ খেলোয়াড়ও গোলকিপার হওয়ায় বলাই যায়, সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়তে চার গোলকিপারের সঙ্গে লড়তে হবে রোনালদোকে। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিন্সের ৪৩ বছর বয়সী গোলকিপার ফাবিও পেশাদার ফুটবলে সর্বোচ্চসংখ্যক ম্যাচ খেলার তালিকায় চতুর্থ (১২১২ ম্যাচ)। কখনো জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া ফাবিও শুধু ক্রুজেইরোর হয়েই খেলেছেন পাঁচ শতাধিক ম্যাচ!

গোলকিপারদের শুধু পোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় বলে ক্যারিয়ার চাইলে দীর্ঘায়িত করা অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় সহজ। রোনালদো আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হয়েও পেশাদার ফুটবলে যেভাবে নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন, তাতে এটা বলাই যায়, এ রেকর্ড কেউ ভাঙার দুঃসাহস দেখালে সেটা শুধু তাঁর দ্বারাই সম্ভব। এএস জানিয়েছে, অন্তত ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত খেলবেন রোনালদো। তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি পেশাদার ক্যারিয়ারে ১০৪৭ ম্যাচে ৮২১ গোল করেছেন।