গত রোববার ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিসিএল) সিটি ক্লাব ও বাফুফে এলিট একাডেমির ম্যাচ শেষে রেফারি জি এম চৌধুরী নয়ন মারধরের শিকার হন, যা নিয়ে ফুটবল অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠে। সেই ঘটনা পর্যালোচনা শেষে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাফুফে সেই শাস্তির বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। রেফারি নয়নকে মারধরের ঘটনায় সিটি ক্লাবকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্লাবের গোলকিপার শাহ আলম ও চার ফুটবলার মাসুম মিয়া, মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলামকে এক বছরের জন্য বাফুফে আয়োজিত সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়ায় খুশি নয়ন। ১৮ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই রেফারি আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, বিচার পেয়েছি। এভাবে শাস্তি হলে রেফারিদের জন্য ভালো। আমরা তো মানুষ, আমাদেরও ভুল হতে পারে। যদিও আমার সিদ্ধান্তে ভুল ছিল না। আর কোনো রেফারি যদি ভুলও করেন তাঁকে এভাবে মারা উচিত নয়।’
ঘটনার সূত্রপাত এক পেনাল্টিকে ঘিরে। সিটি ক্লাব ও বাফুফে এলিট একাডেমি ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি নয়ন। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে ১-১ সমতা আনে এলিট একাডেমি।
সমতার পর অতিরিক্ত সময়ের আরও দুই মিনিটের খেলা মাঠে গড়ায়। সেই দুই মিনিট শেষে রেফারি নয়ন ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজাতেই কিছু লোক মাঠে ঢুকে তাঁকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।
যদিও সিটি ক্লাবের টিম ম্যানেজার আমির হোসেন বলছিলেন ভিন্ন কথা, ‘দেখুন রেফারি যেটা পেনাল্টি দিয়েছেন, সেটা কিছুতেই পেনাল্টি হতে পারে না। এরপর তিনি যা করেছেন, সেটাও তো মেনে নেওয়া যায় না। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই বাঁশি বাজিয়ে দেন। এটা কেমন কথা!’
রেফারি লাঞ্ছিত হওয়ার আরও কয়েকটি ঘটনা গত বুধবারের সভায় পর্যালোচনা করে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটি। এরপর বিভিন্ন মেয়াদ ও ধারা অনুযায়ী দেওয়া হয় শাস্তি। যার মধ্যে, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ওয়ারী ক্লাব ও ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই ক্লাবের কয়েকজন খেলোয়াড়কেও শাস্তি দিয়েছে শৃঙ্খলা কমিটি।