
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই ৭-০ গোলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক করেছেন মোসাম্মাৎ সাগরিকা।
ঢাকার কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সাগরিকার তিন গোলের বাইরে মুনকি আক্তার দুটি এবং স্বপ্না রানী ও শিখা আক্তার একটি করে গোল করেছেন।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ২৩ জনের আটজনকেই শুরুর একাদশে রাখেন কোচ পিটার বাটলার। যার প্রভাব প্রথম মিনিট থেকেই টের পায় শ্রীলঙ্কা। খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই স্বপ্না রানীর গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে স্বাগতিকদের উদ্যাপনের প্রথম উপলক্ষ্য হন ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। এর ঠিক তিন মিনিট পর দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যান আফঈদারা। এবার একাই প্রতিপক্ষের রক্ষণ চুরমার করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি আক্তার।
প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে গোলের সম্ভাবনা জাগানো আরও কয়েকটি আক্রমণ করে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ১৫ মিনিটে সাগরিকার শট রুখে দেয় বেরসিক গোলপোস্ট। ১৯ মিনিটে পোস্টের একেবারে সামনে বল পেয়েও নিশানা ভেদ করতে পারেননি মুনকি। তাতে অবশ্য বাংলাদেশের আক্রমণের গতিতে একটুও ভাটা পড়েনি।
একের পর এক আক্রমণের ধারায় ৩৭ মিনিটে আসে তৃতীয় গোল। ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা বাংলাদেশের সিনহা জাহানের ক্রস থেকে আলতো শটে বল জালে জড়ান সাগরিকা। এরপর ৩৮ ও ৪৫ মিনিটে দুবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে সেগুলো আর গোলের খাতায় ওঠেনি।
৩–০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে নামার পর ১২ মিনিটের মধ্যে আরও ৪ গোল করে ফেলে বাংলাদেশ। ৪৮তম মিনিটে মুনকি, ৫০তম মিনিটে শিখা গোল করলে স্কোরলাইন হয় ৫–০। এরপর ৫৩ ও ৫৮ মিনিটে পরপর দুটি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ‘নাম্বার টেন’ সাগরিকা।
পাঁচটি দেশ এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভারত নাম প্রত্যাহার করে নেয়। সে জন্য বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান—এই চার দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে সাফের এই আসর। টুর্নামেন্টের ফরম্যাটেও এসেছে পরিবর্তন। এখন চার দল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে একে অন্যের সঙ্গে দুবার করে খেলবে। একটি দল ছয়টি করে ম্যাচ পাবে। আর শীর্ষ পয়েন্টধারী দলের হাতে উঠবে কাঙ্ক্ষিত ট্রফি।
বয়সভিত্তিক সাফে বাংলাদেশের প্রাপ্তির ঝুলি বেশ ভারী। সর্বশেষ ২০২৪ সালে এই প্রতিযোগিতায় ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় তাঁরা। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত পাঁচ আসরে চারবারই শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
আজকের পর ১৩ জুলাই নেপালের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১৫ ও ১৭ জুলাই টানা দুই ম্যাচে মেয়েদের প্রতিপক্ষ ভুটান। ১৯ জুলাই আবার লঙ্কানদের মুখোমুখি হবেন স্বপ্না-সাগরিকারা। আর ২১ জুলাই নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ।