Thank you for trying Sticky AMP!!

নতুন কোনো ঠিকানা খুঁজতে হবে রামোসকে

রামোসের ভবিষ্যৎ কোথায়

কোথায় যাবেন সের্হিও রামোস? সময় যে ফুরিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের দল বেসিকতাসে নাম লেখাবেন বলে বেশ কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে সেটাও হচ্ছে না। বেসিকতাস ক্লাবের সহসভাপতি এমরে কোজাদাগ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন টাকা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় বেসিকতাসের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে না রামোসের।

প্রিমিয়ার লিগসহ ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় লিগগুলোর দলবদলের জানালা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর। সৌদি প্রো লিগের দলবদল চলবে আরও কিছুদিন। সৌদি প্রো লিগের দলগুলো খেলোয়াড় কিনতে পারবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাহলে কি সৌদি আরবেই পা রাখবেন রামোস?

Also Read: স্পেন কোচকে ধুয়ে দিয়ে বিদায় বললেন রামোস

রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দেন রামোস। প্যারিসের ক্লাবটিতে যাওয়ার পর লম্বা সময় ধরে রামোস লড়েছেন চোটের সঙ্গে। এমনকি একপর্যায়ে কোনো ম্যাচ না খেলেই তাঁর বিদায়ের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।

যদিও সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে প্রায় দুই বছর ধরে পিএসজিতে ছিলেন রামোস। ক্লাবটির হয়ে দুই মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫৭ ম্যাচ খেলেছেন এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার, জিতেছেন দুটি লিগ শিরোপাও।

ফ্রান্সের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছিল, রামোস পিএসজিতেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি পিএসজি। এরপর গুঞ্জন ছিল, রামোস শৈশবের ক্লাব সেভিয়ায় ফিরতে পারেন। সৌদি আরবের নামটাও তখন শোনা গিয়েছিল। তবে সে সময় সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন ছিল লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই কথাও বেশি দূর এগোয়নি।

Also Read: পিএসজিকে বিদায় বলে দিলেন রামোস

এরপরই মূলত রামোসের বেসিকতাসে যাওয়ার খবর প্রকাশ করে ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো। কিন্তু চুক্তির অঙ্কের বনিবনা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত রামোস তুরস্কেও যাচ্ছেন না।

রামোসের মায়ামিতে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে

রামোসের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এমরে কোজাদাগ বলেছেন, ‘গণমাধ্যমগুলো বলছে, রামোস পাঁচ মিলিয়ন ইউরো চাচ্ছে। আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। সে আসলে এর দ্বিগুণের বেশি চাচ্ছে। এই মুহূর্তে রামোস সৌদি আরবে গেলে সে ২৩ থেকে ২৫ মিলিয়ন ইউরো পাবে। তাকে সাইন করানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে, তবে মনে হচ্ছে সেটা আর সম্ভব নয়। তার যে বেতন এবং তাঁর এজেন্ট চাচ্ছে ১৫ মিলিয়ন ইউরো। এরপর আমাদের আলোচনাও থেমে গেছে।’

৩৭ বছর বয়সী রামোসের ইউরোপের কোনো প্রজেক্টে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সে ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে তাঁর জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে সৌদি আরবের ফুটবলেই নাম লেখানো। তবে শেষ পর্যন্ত রামোসের গন্তব্য কোথায় হবে, তা জানতে হয়তো আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

Also Read: ইন্টার মায়ামি থেকে এক পা দূরে রামোস