ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপ্পে
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপ্পে

রোনালদো না এমবাপ্পে, রিয়ালে প্রথম মৌসুমে কে বেশি ভালো

২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর ১৫ বছর পর রিয়ালে নাম লেখান কিলিয়ান এমবাপ্পে।

২০২৪-২৫, মানে গত মৌসুমটাই ছিল রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রথম। আর সেই অভিষেক মৌসুমেই দারুণ এক গল্প লিখে ফেলেছেন এমবাপ্পে!

মৌসুমের শুরু থেকেই তাঁর তুলনা হচ্ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে, যার রিয়াল-যাত্রার শুরুটাও ছিল এক দিগ্বিজয়ীর আগমন বার্তা দিয়ে।

২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়ালে পা রেখেছিলেন রোনালদো। এরপরের ইতিহাস তো রিয়ালের সঙ্গে তাঁর মহাকাব্যিক সম্পর্কের গল্প: চারবার ব্যালন ডি’অর জয়, ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা, টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়, আর গোলসংখ্যার প্রায় সব রেকর্ডে নাম লেখানো।

১৫ বছর পর রিয়ালে এমবাপ্পের শুরুটাও হলো তাঁর ছোটবেলার ‘হিরো’র মতোই, কিংবা এর চেয়েও ঝলমলে। যদিও রিয়ালের হয়ে এমবাপ্পের সাফল্যের পাল্লাটা রোনালদোর মতো ভারী হতে অনেক সময় লাগবে, কিন্তু প্রথম মৌসুমেই তিনি যা করেছেন, তাতে সেই আশা খুব ভালোভাবেই করতে পারেন রিয়াল–সমর্থকেরা।

গোলের হিসাবে রিয়ালে প্রথম মৌসুমে রোনালদোর চেয়ে এমবাপ্পেই উজ্জ্বল। অভিষেক মৌসুমেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এমবাপ্পে করেছেন ৪৪ গোল, রোনালদোর চেয়ে ১১টি বেশি। অবশ্য এমবাপ্পে ম্যাচও বেশি খেলেছেন ২৪টি।

অন্যদিকে রোনালদো গোল করিয়েছিলেন ১০টি, এমবাপ্পের চেয়ে ৫টি বেশি। মাত্র ৩৫ ম্যাচেই রোনালদোর তাই অবদান ছিল ৪৩টি গোলে, যেখানে এমবাপ্পে ৫৯ ম্যাচ খেলে অবদান ৪৯ গোলে।

দুজনই নিজেদের অভিষেক মৌসুমে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। তবে এমবাপ্পে এক মৌসুমে সাতটি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করে গড়েছেন অনন্য রেকর্ড। ক্লাব ইতিহাসে আর কোনো খেলোয়াড়ের এই কীর্তি নেই। করিম বেনজেমা একই মৌসুমে ছয়টি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করেছিলেন। রোনালদো যা করতে পারেননি কখনো।

দলীয় ট্রফি ও ব্যক্তিগত পুরস্কার

রোনালদো তাঁর অভিষেক মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কোনো ট্রফি জেতেননি। এমনকি কোনো ব্যক্তিগত পুরস্কারও ছিল না তাঁর ঝুলিতে। অন্যদিকে এমবাপ্পে জিতেছেন দুটি শিরোপা: উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। এই দুটি ফাইনালেই গোল করেছেন এমবাপ্পে।

রোনালদোকে নিজের আদর্শ মনে করেন এমবাপ্পে

শুধু এটুকুই নয়, লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩১ গোল করে পিচিচি ট্রফি (লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা) ও ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতেছেন এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে প্রথম মৌসুমেই পিচিচি জেতা চতুর্থ খেলোয়াড় এমবাপ্পে, তাঁর আগের তিনজন—আলফ্রেডো দি স্তেফানো, হুগো সানচেস ও রুদ ফন নিস্টলরয়।

রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে অভিষেক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও এখন এমবাপ্পের, পেছনে ফেলেছেন ইভান জামোরানোকে।