হলান্ড মানেই যেন গোল
হলান্ড মানেই যেন গোল

হলান্ডের গোলক্ষুধার নেপথ্যে রেড লাইট থেরাপি, কাঁচা দুধ ও স্টেক

আর্লিং হলান্ড এবং গোল যেন সমার্থক। মাঠে নেমে গোল করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে করেছেন ২৪ গোল। টানা ১২ ম্যাচে গোল করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন।

সেই হলান্ড সম্প্রতি নিজের গোলক্ষুধার রহস্য উন্মোচন করেছেন। বলেছেন, শরীরকে নমনীয় রাখা, কাঁচা দুধ এবং স্টেকই (একধরনের মাংসের টুকরা, সাধারণত গরুর মাংস থেকে কাটা হয়) তাঁর নিয়মিত গোল করার কারণ।

২৫ বছর বয়সী হলান্ড সম্প্রতি নিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। চ্যানেলে প্রথম ভিডিওতেই নিজের সাফল্যের কিছু কারণ তিনি সবাইকে জানিয়েছেন। ২৭ মিনিটের সেই ভিডিওতে উঠে এসেছে হলান্ডের একটি সাধারণ দিন কীভাবে কাটে তাঁর বিবরণ।

ভিডিওতে দিনের শুরুতে হলান্ডকে নিজের নাশতা তৈরি করতে দেখা যায়। এরপর ফিজিওথেরাপি সেশন (রেড লাইট থেরাপি), সিটির সঙ্গে অনুশীলন এবং রাতের খাবার প্রস্তুত করা পর্যন্ত সবকিছুই দেখানো হয় সেখানে।

ভিডিওতে হলান্ড বলেন, ‘প্রকৃতিগতভাবেই আমার কোমর আর কুঁচকি বেশ নমনীয়, যেটা ধরে রাখা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। নয়তো গোলগুলো তুমি কীভাবে করবে।’ হলান্ড এ কথা বলতে বলতে নিজের পা তুলে কিছু অ্যাক্রোবেটিক গোলের ভঙ্গি দেখান। হলান্ড এ সময় আরও বলেন, ‘পাগলাটে গোলগুলো করতে হলে তোমার শরীরের নড়াচড়া করার ভালো ক্ষমতা বা নমনীয়তা থাকতে হবে। এটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

ভিডিওতে দেখা যায়, অনুশীলনে যাওয়ার পথে হলান্ড স্থানীয় এক ফার্ম শপে থামেন, যেখান থেকে তিনি কাঁচা দুধ আর কয়েক ধরনের স্টেক কেনেন। পরে রান্না নিয়ে তাঁর বিশেষ আগ্রহও দেখা যায়। এই ইউটিউব চ্যানেলটি হলান্ডের ব্যক্তিগত উদ্যোগে খোলা হয়েছে, যেটা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়।

হলান্ড বলেন, ‘মানুষ সব সময় ম্যাচ, গোল আর উদ্‌যাপন দেখে; কিন্তু এগুলোর পেছনে প্রস্তুতির যে দীর্ঘ সময় লাগে, সেটা কেউ দেখে না। মাঠের বাইরে আমি কেমন, তার একটা অংশ এটা এবং আমি চাই মানুষ এই দিকটা উপভোগ করুক।’