Thank you for trying Sticky AMP!!

তিন ব্যক্তির নজরদারি’তে ছিলেন পিএসজি সভাপতি

‘নজরদারি’তে ছিলেন পিএসজি সভাপতি

গোপন তথ্য ছিল, এমন কারণে একজনকে গোপন একটি জায়গায় ১০ মাস আটকে রেখেছেন—সম্প্রতি পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফির বিপক্ষে উঠেছিল এমন অভিযোগ। এবার অর্থ পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও পিএসজির সাবেক এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেল, খেলাইফিকে নজরদারিতে রেখেছিলেন তাঁরা।

পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, পিএসজির সভাপতির ব্যক্তিগত তথ্য ও ভিডিও ছিল এই তিনজনের কাছে। অর্থ পাচারের সঙ্গে পেশাদারি গোপনীয়তা ভঙ্গ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগও আনা হয়েছে এই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

খেলাইফির ব্যক্তিগত কল রেকর্ডিং ও ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থা

কাতার রাজপরিবারের কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠভাজন খেলাইফি। বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে কাতারকে ফিফার বেছে নেওয়ায় উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাতেও ভূমিকা ছিল খেলাইফির। ওই তিন ব্যক্তি অনেক দিন ধরেই খেলাইফিকে নজরদারিতে রেখে তাই কাতার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খেলাইফির ভিডিও, রেকর্ডিং সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন।

Also Read: পিএসজি সভাপতির বিরুদ্ধে অপহরণ ও আটকের অভিযোগ

সংবাদমাধ্যম লা পেরিসিয়ান জানিয়েছে, ২০২১ সালের অক্টোবরে পিএসজির একজন কর্মকর্তা ছিলেন এন মালিক। খেলাইফির ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যক্তিগত কল রেকর্ডিং ও ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও পিএসজির সাবেক এই কর্মকর্তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

বি তায়েব নামের এক ব্যক্তির কাছেও নাকি গোপন নথিপত্র ছিল খেলাইফির। ফাঁস করে দিতে পারেন, এই শঙ্কা থেকেই সেই লোককে নাকি গোপন একটি জায়গায় আটকে রেখেছিলেন খেলাইফি। মাসের পর মাস তাঁকে আটকে রেখে, নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে শেষ পর্যন্ত নথিগুলো উদ্ধার করেন তিনি।

Also Read: নেইমার–এমবাপ্পের সম্পর্ক নিয়ে খেলাইফি, ভাই–ভাই ঝগড়া হতেই পারে

১০ মাস আটকে রাখার পর সেই লোক খেলাইফির বিষয়ে গোপন সব নথি তাঁর আইনজীবীর কাছে হস্তান্তরের পর তাঁকে ছাড়া হয়। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘লিবারেশন’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো খেলাইফির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।