গোলের পর আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দলের জয়ের নায়ক মাতেও সিলভেত্তি (১৭ নম্বর)
গোলের পর আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দলের জয়ের নায়ক মাতেও সিলভেত্তি (১৭ নম্বর)

মেসির সতীর্থের গোলে ১৮ বছর পর অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা

৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। এবার দেশটির অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসানের খুব কাছে চলে গেল। চিলিতে আজ বাংলাদেশ সময় সকালে সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে যুবাদের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টাইনদের জয়ের নায়ক লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি সতীর্থ মাতেও সিলভেত্তি। ৭২ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার ভোরে সান্তিয়াগোতে ফাইনালে আফ্রিকান দল মরক্কোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

দারুণ এক দলীয় প্রচেষ্টার ফসল ছিল সিলভেত্তির গোলটি। আর্জেন্টাইন অর্ধ থেকেই গড়ে ওঠা আক্রমণটি পূর্ণতা পায় সিলভেত্তির গোলে। নিজেদের অর্ধ থেকেই ৩০-৪০ গজ দৌড়ে নিখুঁত এক পাস বাড়িয়েছিলেন বেনফিকায় খেলা উইঙ্গার জিয়ানলুকা প্রেসতিয়ান্নি। ডান পায়ের বুটের ডগার ছোঁয়ার বলটিকে জালে পাঠান সিলভেত্তি।

ফাইনালে ওঠার পর আর্জেন্টাইনদের উল্লাস

সিলভেত্তি গোল পেলেন নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনার তিনটি ম্যাচেই। সেমিফাইনালের আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে নাইজেরিয়া ও কোয়ার্টার ফাইনালে মেক্সিকোর বিপক্ষে ১টি করে গোল করেছেন সিলভেত্তি। টুর্নামেন্টে তাঁর গোল এই তিনটিই।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই মেসির অভিনন্দনবার্তা পেয়েছেন সিলভেত্তিরা। ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, ‘এবার ফাইনাল!!! সবাইকে অভিনন্দন, দারুণ।’

উত্তর দিতে দেরি করেননি সিলভেত্তি, বলেছেন, ‘লিও (মেসি) আমাকে ও দলকে যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাতে খুব সম্মানিত বোধ করছি। বড়রা সব সময়ই সমর্থন দিয়ে গেছেন, আমাদের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম।’

কলম্বিয়ার এক খেলোয়াড়কে সান্ত্বনা দিচ্ছেন আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার হুলিও সোলের

২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মেসি। সিলভেত্তিরা কি পারবেন?


অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনাই সবচেয়ে সফল দল। সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে সর্বশেষ ট্রফিটি আর্জেন্টাইন যুবারা জিতেছে সেই ২০০৭ সালে। এরপর এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দলটি। সপ্তম শিরোপা জয়ের পর সাতটি অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের পাঁচটিতে সুযোগ পাওয়া আর্জেন্টাইনরা সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ২০১১ সালে।