টানা তিন ম্যাচ গোল করার পর অবশেষে থামলেন লিওনেল মেসি। আর মেসির গোল না পাওয়ার রাতে থামল ইন্টার মায়ামিও। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সময় শনিবার রাতে টরন্টো এফসির সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করেছে মায়ামি।
টরন্টোর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন মেসি।
আগের তিন ম্যাচে করেছিলেন পাঁচ গোল। এ ম্যাচেও দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। কিন্তু গোলের দেখা পাননি। এ ম্যাচে গোল না পেলেও ২৩ ম্যাচে ২৪ গোল নিয়ে এখনো এমএলএসের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন মেসি।
ছন্দে থাকা মেসিকে আটকে দেওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা টরন্টো গোলকিপার শন জনসনের। ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানো জনসন সব মিলিয়ে ৫টি গোল বাঁচিয়েছেন, যার মধ্যে ৪টিই ছিল মেসির প্রচেষ্টা। ম্যাচে ৬২ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ৯টি শট নিয়েছিল মায়ামি, কিন্তু জনসনের দুর্দান্ত সেভগুলো তাদের দ্বিতীয় গোল বঞ্চিত করে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জর্দি আলবার ক্রসে হেডে মায়ামির একমাত্র গোলটি করেন তাদেও আলেন্দে। পরে ম্যাচে ৬০ মিনিটে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোলটি শোধ করেন টরন্টোর দোরদে মিহাইলোভিচ। ম্যাচের শেষ দিকে একের পর আক্রমণ চালিয়েও জয়সূচক গোলটি আর আদায় করতে পারেনি মায়ামি।
এ ড্রয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৩০ ম্যাচে ১৬ জয়, ৮ ড্র ও ৬ হারে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৪ নম্বরে আছে মায়ামি। মায়ামির ওপরে থাকা তিন দলই অবশ্য তাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে। শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৬৩। আর ১২ নম্বরে থাকা টরন্টোর পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ২৮।
ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানো বলেন, ‘আমরা জেতার মতো খেলেছি। সবচেয়ে ভালো সুযোগগুলো তৈরি করেছি। হয়তো দ্বিতীয়ার্ধের ১০ থেকে ১৫ মিনিট আমরা একটু এলোমেলো ছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। আজকের ম্যাচের আসল নায়ক অবশ্য তাদের গোলকিপারই।’
মাচেরানো আরও যোগ করেন, ‘আমরা জিততেই নেমেছিলাম এবং পয়েন্ট তালিকায় আরও ওপরে ওঠার লক্ষ্য ছিল। এখন সামনে তাকাতে হবে। হাতে আছে আরও চারটি ম্যাচ। চেষ্টা করব প্রতিটি ম্যাচ জিতে যতটা সম্ভব ওপরে শেষ করতে।’
ইন্টার মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়।