জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ

ক্রীড়া ফেডারেশনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ এনএসসির

যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নীতিমালা অনুসারে সব ক্রীড়া ফেডারেশনে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। কমিটি গঠন করে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এনএসসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) রুহুল আমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ১৪ মে জারি করা ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার–সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০০৯’ অনুযায়ী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অন্তর্ভুক্ত সব ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে কমপক্ষে তিনজন নারী সদস্যসহ পাঁচ সদস্যের একটি অভিযোগ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কমিটির মাধ্যমে কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগের প্রতিকার না পেলে বা অভিযোগের নিষ্পত্তিতে সন্তুষ্ট না হলে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছেও অভিযোগ করতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) আমিনুল এহসান আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনএসসি মনে করে, এ উদ্যোগের ফলে নারী ক্রীড়াবিদেরা নিজেদের আরও সুরক্ষিত ভাবতে পারবেন এবং নিজেদের সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন।’

২০০৯ সালে উচ্চ আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি রোধে দিকনির্দেশনামূলক নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করার আদেশ দেন। তবে দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলোয় এ ধরনের কমিটি আজকের আগপর্যন্ত ছিল না। এ নিয়ে ১০ নভেম্বর প্রথম আলোয় ‘ক্রীড়াঙ্গনে যৌন হয়রানি: হাইকোর্টের নীতিমালা মানছে না ফেডারেশনগুলো’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, ক্রিকেট ও ফুটবলের মতো বড় ফেডারেশনসহ দেশের ৫৩টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের কোনোটিতেই ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ নেই। তাদের গঠনতন্ত্রেও এ বিষয়ে কোনো কিছুর উল্লেখ নেই।

সম্প্রতি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার পর বিসিবি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে ক্রীড়াঙ্গনে যৌন হয়রানির অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে।