‘আশা করছি, এই টুর্নামেন্টে এবার আর কোনো অঘটন ঘটবে না।’
উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার পর কথাগুলো বলেছেন নারী টেনিসে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় আরিনা সাবালেঙ্কা। এমন প্রার্থনা সাবালেঙ্কা করতেই পারেন। এবারের উইম্বলডন যে প্রথম রাউন্ড থেকেই একের পর এক অঘটনের জন্ম দিচ্ছিল।
প্রথম রাউন্ড থেকে ছেলেদের বিভাগে ছিটকে গেছেন দানিল মেদভেদেভ ও আলেক্সান্দার জভেরেভ। মেয়েদের এককে অঘটনের শিকার হয়েছেন কোকো গফ, জেসিকা পেগুলা ও ঝেং কিনওয়েন। সব মিলিয়ে প্রথম দুই দিনে পুরুষ ও নারী এককে শীর্ষ দশে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে আটজনই বিদায় নিয়েছেন, যা ওপেন যুগে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামে রেকর্ড।
দ্বিতীয় রাউন্ডে বড় অঘটনের শিকার হওয়ার মতো ছিলেন ছেলেদের বিভাগে কার্লোস আলকারাজ আর মেয়েদের বিভাগে সাবালেঙ্কা। তবে দুজনই সেটি এড়িয়ে জয় নিয়ে কোর্ট ছেড়েছেন। এর মধ্যে আলকারাজ জিতেছেন সহজেই। পাঁচবারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ৬-১, ৬-৪, ৬-৪ সেটে হারিয়েছেন ব্রিটিশ খেলোয়াড় অলিভার টারভেটকে।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩৩ নম্বরে থাকা টারভেটকে হারাতে আলকারাজের সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা ১৭ মিনিট। ম্যাচ শেষে আলকারাজ বলেন, ‘সবার আগে আমি অলিভারের প্রশংসা করতে চাই। এটা তার ট্যুরে দ্বিতীয় ম্যাচ, আর আমি সত্যিই ওর খেলা উপভোগ করেছি। জানতাম, আমাকে নিজের সেরাটা খেলতে হবে। আমি আমার পারফরম্যান্সে খুশি, তবে ওকেও বড় কৃতিত্ব দিতে হবে।’
এপ্রিলের বার্সেলোনা ফাইনালে হোলগার রুনের কাছে হারের পর এ নিয়ে টানা ২০ ম্যাচ জিতেছেন আলকারাজ। এর মধ্যে রয়েছে রোম মাস্টার্স, ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং কুইন্স ক্লাবের শিরোপা। ২২ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ গত মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে দুই সেট পিছিয়ে ইয়ানিক সিনারকে হারিয়েছিলেন।
আলকারাজের আগে মেয়েদের বিভাগে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন সাবালেঙ্কা। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা পেরোতে বেশ কষ্টই করতে হয়েছে তাঁকে। যদিও সরাসরি সেটে জিতেই তিনি তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন, কিন্তু দুটি সেটেই বিশ্বের ৪৫ নম্বর খেলোয়াড় চেক প্রজাতন্ত্রের মেরি বুৎসকোভার বিপক্ষে লড়াই করতে হয়েছে। প্রথম সেটটি টাইব্রেকারে ৭-৬ (৭/৪) গেমে জয়ের পর দ্বিতীয় সেটটি জিতেছেন ৬-৪ গেমে। ম্যাচ শেষে সাবালেঙ্কা বলেছেন, ‘অনেক শীর্ষ খেলোয়াড়কে প্রথম রাউন্ডে হারতে দেখাটা কষ্টের বিষয়।’