কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর নোভাক জোকোভিচ
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর নোভাক জোকোভিচ

‘ফেদেরার-কুফা’ কাটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জোকোভিচ

উইম্বলডনের শেষ ষোলোতে প্রথম সেটে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ডি মিনাউরকে হারিয়েছেন জোকোভিচ, ১৬তম বার উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন।

আবারও উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন নোভাক জোকোভিচ। তবে শেষ ষোলোতে ঠিক ছন্দে ছিলেন না এই সার্বিয়ান তারকা। অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনাউরের বিপক্ষে শুরুটা ছিল বেশ অগোছালো। তবে একবার ছন্দ ফিরে পেয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে সোমবার ১-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে জিতে ১৬তমবারের মতো উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন সাতবারের চ্যাম্পিয়ন।

গ্যালারিতে বসে এই ম্যাচ উপভোগ করেছেন রেকর্ড আটবারের উইম্বলডনজয়ী রজার ফেদেরার। আগামী রোববার ফাইনালে জিততে পারলে ফেদেরারের রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলবেন জোকোভিচ। তাতে নারী-পুরুষ মিলিয়েই রেকর্ড ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জেতার কীর্তি গড়বেন ৩৮ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি।

তবে আজকের মতো শুরু হলে সামনে বিপদ হতে পারে। আজ প্রথম গেমেই সার্ভিস হারান, এরপর আরও দুটি ব্রেক পয়েন্ট তুলে নেন ১১ নম্বর বাছাই মিনাউর। মাত্র এক সেটেই জোকোভিচ করেছেন ১৬টি আনফোর্সড এরর, সঙ্গে ছিল চারটি ডাবল ফল্ট। ফল, ৬-১ গেমে প্রথম সেটে হার।

একটি পয়েন্ট পাওয়ার পর জোকোভিচ

দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই জোকোভিচ ব্রেক করে এগিয়ে যান। এরপর একটানা ১৯ মিনিট ধরে চলা এক গেমে ব্রেক করে সেটটি জিতে নেন মিনাউর। তবে সেখান থেকে ম্যাচে জমে ওঠে লড়াই। দ্বিতীয় সেটের শেষদিকে নিজের সার্ভ ধরে রেখে সেটটি জিতে সমতা ফেরান জোকোভিচ।

তৃতীয় সেটের প্রথম আট গেম যে যাঁর সার্ভিস ধরে রেখে জিতে যান। তবে নবম গেমে মিনাউরের একটি ফোরহ্যান্ড বাইরে চলে গেলে ব্রেক পয়েন্ট পেয়ে যান জোকোভিচ। এরপর নিজের সার্ভ ধরে সেটটিও জিতে নেন সাবেক নাম্বার ওয়ান।

সম্ভবত এটাই প্রথমবার, যখন তিনি গ্যালারিতে বসে আমার খেলা দেখলেন আর আমি জিতলাম। এর আগে কয়েকবার ওর সামনে হেরেছিলাম, অবশেষে কুফাটা কাটল আমার।
নোভাক জোকোভিচ

চতুর্থ সেটে আবার ঘুরে দাঁড়ান মিনাউর। ৪-১ গেমে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় জোকোভিচের প্রত্যাবর্তন। পরের পাঁচ গেম টানা জিতে ম্যাচটিই শেষ করে দেন তিনি।

জোকোভিচের ম্যাচটি গ্যালারিতে বসে দেখেছেন রজার ফেদেরার

কোয়ার্টার ফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ইতালির ২২তম বাছাই ফ্লাভিও কোবোল্লি। সেই ম্যাচ জিততে পারলে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে পারেন বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় ইয়ানিক সিনারের।

জয়ের পর রজার ফেদেরারের দিকে ইঙ্গিত করে জোকোভিচ বললেন, ‘সম্ভবত এটাই প্রথমবার, যখন তিনি গ্যালারিতে বসে আমার খেলা দেখলেন আর আমি জিতলাম। এর আগে কয়েকবার ওর সামনে হেরেছিলাম, অবশেষে কুফাটা কাটল আমার।’

ফেদেরারকে ঘিরে স্মৃতিচারণাও করলেন সার্ব তারকা, ‘তিনি বড় এক চ্যাম্পিয়ন, যাকে আমি সব সময় শ্রদ্ধা করেছি, প্রশংসা করেছি। আমরা অনেক বছর একসঙ্গে কোর্ট শেয়ার করেছি। তাঁকে আবার এখানে দেখে দারুণ লাগছে।’