Thank you for trying Sticky AMP!!

এবার সামনে তাঁর এক দশকের চ্যালেঞ্জ

মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স

বছরের শুরুতে নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভ্যস্ত মার্ক জাকারবার্গ। এ বছর আমি মান্দারিন শিখব, প্রতিদিন এক মাইল দৌড়াব, যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্য দেখব—এমন সব সংকল্প। গত বছর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আলোচনার আয়োজন করেছেন বিভিন্ন সময়।

এ বছর নিজেকে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন না ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বরং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন। ফেসবুকে এক পোস্টে জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘বছর বছর নতুন চ্যালেঞ্জের বদলে, বরং ২০৩০ সালে বিশ্ব ও আমার জীবনকে কেমন দেখতে চাই, তা নিয়ে ভাবার চেষ্টা করেছি।’

মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, এক দশক পর আমাদের এমন প্রযুক্তি থাকবে, যার সাহায্যে আমরা এমন মানুষের উপস্থিতি টের পাব, যিনি হয়তো অনেক দূরে আছেন এবং মানুষের গড় আয়ু আড়াই বছর বাড়িয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট রোগের আরোগ্য বা প্রতিষেধক উদ্ভাবন করতে সাহায্য করবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা।

নিজের শৈশব নিয়েও লিখেছেন মার্ক। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লক্ষ্য বদলানো প্রয়োজন বলে জানান। লিখেছেন, ‘আমি যখন ছোট্ট এক শহরে বেড়ে উঠেছি, তখন নির্দিষ্ট লক্ষ্য বেছে নেওয়া সহজ ছিল। তবে কোটি কোটি মানুষের মধ্যে নিজের জন্য অনন্য কোনো কাজ বেছে নেওয়া কঠিন। পরবর্তী দশকে নানা ধরনের ছোট ছোট কমিউনিটি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে সামাজিক অবকাঠামো, যা আমাদের কাছে থাকার অনুভূতি দেবে।’

জাকারবার্গের আগের বার্ষিক চ্যালেঞ্জ
২০১৮ সালে ফেসবুকের গুরুত্বপূর্ণ নানা সমস্যার সমাধান করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। যেমন হয়রানি, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ প্রতিহত করা।

২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে গিয়ে মানুষদের সঙ্গে দেখা করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। অনেকেই ভেবেছিল, মার্ক বুঝি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।
২০১৬ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ শিখে এই প্রযুক্তিনির্ভর সিস্টেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
২০১৫ সালে প্রতি মাসে অন্তত দুটি বই পড়ার সংকল্প করেছিলেন মার্ক।
২০১০ সালে চীনা ভাষা মান্দারিন শিখবেন বলে জানান। বছর কয়েক পর নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে চীনে ভাষায় সাক্ষাৎকার দেন।
তাঁর অন্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে দৌড়, বনে শিকার ও রান্না করতে শেখা এবং মানুষের সামনে বক্তৃতা দিতে স্বচ্ছন্দ হওয়া অন্যতম। সূত্র: বিবিসি