বিমানবন্দরে চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে
কাজের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সময় কমিয়ে আনার জন্য বিমানবন্দরগুলোতে চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি গ্রহণের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে সবশেষ গ্রহণ করেছে চীনের নতুন বেইজিং ডেক্সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তবে এই প্রযুক্তি নিয়ে অনেক যাত্রী ভয় পাচ্ছেন, যদি তাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হয়।
প্রযুক্তিটি যেভাবে কাজ করে
চেহারা সনাক্তকারী প্রযুক্তিটি বায়োমেট্রিক্স স্ক্রিনিং নামেও পরিচিত। প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। নির্দিষ্ট একটি স্থানে ক্যামেরা বসানো থাকবে, যার সামনে কেউ এলে এটি ছবি তুলবে। এরপর সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে যাচাই করবে।
কমিয়ে আনবে সময় ও খরচ
চেহারা শনাক্তকারী এই প্রযুক্তি খুব সহজেই প্রবেশপথে এবং বিমানে উঠার আগে ব্যবহার করা যাবে। এর সাহায্যে অল্প সময়ে বেশি যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকার ঝক্কি যাত্রীদের পোহাতে হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন জানিয়েছে, দেশটির ১৫টি বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রবেশপথে এবং ২২টি বিমানবন্দরে বের হওয়ার পথে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
গোপনীয়তা থাকবে তো
যাত্রীদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাঁদের যে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণ কে করবে? যেহেতু এখানে তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক না। এ ক্ষেত্রে জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশনের নিয়ম অনুসরণ করা হয়ে থাকে। গেটউইক নামের একটি বিমান সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে, যাত্রীদের ব্যক্তিগত তথ্য বিমান এবং প্রতিষ্ঠানটির তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কোনো তথ্য সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে না। যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলেই তা মুছে ফেলা হবে।
ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার কিছুটা ভয় কাজ করলেও দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকার তুলনায় সময় বাঁচানোর দিকটাই যাত্রীরা পছন্দ করছেন। তা ছাড়া বিমানবন্দর পরিচালনার কাজকেও করে তুলেছে বেশ ঝামেলাহীন। এ জন্য প্রযুক্তি পর্যায়ক্রমে ব্যবহার শুরু করছে বিশ্বজুড়ে নানা বিমানবন্দর। সূত্র: সিম্পল ফ্লাইং
আরও পড়ুন
-
স্কুল, মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
আগামীকালও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
মিয়ানমারে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন