Thank you for trying Sticky AMP!!

নিকোলাস নেগ্রোপন্টের হাতে ১০০ ডলারের ল্যাপটপ

শিশুদের জন্য ১০০ ডলারের ল্যাপটপ

১৬ নভেম্বর ২০০৭

একটি শিশুর জন্য একটি ল্যাপটপ (ওয়ান ল্যাপটপ পার চাইল্ড—ওএলপিসি) প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের জন্য ১০০ ডলারের ল্যাপটপ তৈরি ও বিতরণ শুরু হয়।

১৬ নভেম্বর ১৯২২

আইবিএম সিস্টেম/ ৩৬০ মেইনফ্রেম কম্পিউটারের নকশাকার জিন অ্যাদল যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডেকোটায় জন্মগ্রহণ করেন।

১৬ নভেম্বর ২০০৭
১০০ ডলার ল্যাপটপ প্রকল্পের শুরু
একটি শিশুর জন্য একটি ল্যাপটপ (ওয়ান ল্যাপটপ পার চাইল্ড—ওএলপিসি) প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের জন্য ল্যাপটপ তৈরি ও বিতরণ শুরু হয়। শিশুদের শিক্ষা ও বিনোদনের জন্য এই যন্ত্র ১০০ ডলারের ল্যাপটপ নামে পরিচিত ছিল। ২০০৫ সালের ১৬ নভেম্বের তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের তথ্য সমাজ শীর্ষ সম্মেলনে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনান। এর আগে প্রথম নমুনা ল্যাপটপের উদ্বোধন করেছিলেন ওএলপিসি প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস নেগ্রোপন্টে।

১০০ ডলার ল্যাপটপের একটি নমুণা

ওএলপিসি এক্সও মডেলের এই ল্যাপটপ কম্পিউটারের ধারণা দিয়েছিলেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) মিডিয়া ল্যাবের সহপ্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস নেগ্রোপন্টে। নকশা করেছিল ইভ বিয়ার ফিউজপ্রজেক্ট কোম্পানি। আর এর প্রস্তুতকারক ছিল কোয়ান্টা কম্পিউটার। অলাভজনক সংস্থা ওএলপিসি তৈরি করেছিল এই ল্যাপটপ।

১০০ ডলার ল্যাপটপের প্রাথমিক নকশা

বিভিন্ন দেশের সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে মিল রেখে এই ল্যাপটপে শিশুদের পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ ছিল। ২০০৬ সালে এটি ১৮৮ মার্কিন ডলারে বিক্রি করা হয়। ২০০৮ সালে এর দাম ১০০ ডলার করা হয়। পরে ‘একটি কিনুন একটি দান করুন’ প্রচারণায় এর দাম ৫০ ডলারে নেমে আসে।
১০০ ডলারের ল্যাপটপে হার্ডডিস্কের বদলে ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহার হয়। এটি ছিল মাল্টিমিডিয়া ল্যাপটপ। ফেডোরা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে চলত এটি। ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য এতে ছিল তারহীন ওয়াই–ফাই প্রযুক্তি। ২০১২ সালে ওএলপিসি এক্সও–৪ মডেল তৈরি হয়। এতে স্পর্শনির্ভর প্রযুক্তি যোগ করা হয়েছিল।

জিন অ্যাদল

১৬ নভেম্বর ১৯২২
মেইনফ্রেম কম্পিউটারের নকশাকার জিন অ্যাদলের জন্ম
আইবিএম সিস্টেম/ ৩৬০ কম্পিউটারের নকশাকার জিন অ্যাদল যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডেকোটায় জন্মগ্রহণ করেন। সিস্টেম/ ৩৬০ আইবিএম কম্পিউটারে ট্রানজিস্টরের বদলে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে এই কম্পিউটারের মাধ্যমে পাঞ্চকার্ড থেকে ইলেকট্রনিক কম্পিউটার সিস্টেমের দিকে নজর দেওয়া হয়। আইবিএমের চাকরি ছেড়ে অ্যাদল নিজের অ্যাদল কম্পিউটার করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানই আইবিএম–কমপ্যাটেবল প্রথম মেইনফ্রেম কম্পিউটার তৈরি করে সফলতা পায়। ১৯৭৯ সাল নাগাদ অ্যাদল কম্পিউটার করপোরেশন ভি–৬ ও ভি–৭ মেইনফ্রেম বিক্রি করে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আয় করে। সে সময় বিশ্বব্যাপী অ্যাদলের কর্মীর সংখ্যা ছিল ছয় হাজারের বেশি।