
স্মার্টফোন এখন ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের বড় ভান্ডার। ফলে ফোনের লোকেশন, মাইক্রোফোন কিংবা ক্যামেরা ব্যবহার করে অজান্তেই নজরদারি হচ্ছে কি না, এই উদ্বেগও বাড়ছে। আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আইওএসে এমন কিছু সুবিধা রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় কোন কোন অ্যাপ সন্দেহজনকভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে। প্রয়োজনে সেসব ব্যবহার দ্রুত বন্ধ করার ব্যবস্থাও রয়েছে। আইফোনে কোন কোন অ্যাপ গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছে, তা জেনে নেওয়া যাক।
আইফোনের পর্দার ওপরের অংশে কমলা রঙের একটি ছোট বিন্দু দেখা গেলে বুঝতে হবে, গোপনে মাইক্রোফোন চালু হয়ে শব্দ ধারণ করছে। হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস নোট পাঠানো বা কোনো অ্যাপে অডিও রেকর্ডের সময় এটি স্বাভাবিক। তবে ব্যবহারকারী কোনো অডিও সুবিধা চালু না করেও যদি এই চিহ্ন দেখতে পান, তাহলে সতর্ক হতে হবে। সমস্যা সমাধানে পর্দার ওপরের ডান দিক থেকে নিচের দিকে সোয়াইপ করে কন্ট্রোল সেন্টার খুলে কোন অ্যাপ মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে, তা দেখতে হবে।
পর্দার ওপরের অংশে সবুজ রঙের একটি বিন্দু দেখা গেলে বুঝতে হবে আইফোনের ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে। ফেসটাইমে ভিডিও কল বা ভিডিও ধারণের সময় এটি স্বাভাবিক। তবে ক্যামেরা ব্যবহার না করেও যদি এই সংকেত দেখা যায়, তাহলে কন্ট্রোল সেন্টারে প্রবেশ করে অ্যাপটির তথ্য শনাক্ত করতে হবে।
কোন অ্যাপ কখন এবং কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বা ব্যবহার করছে, তা অ্যাপটির গোপনীয়তা প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়। এই সুবিধাটি ডিফল্টভাবে বন্ধ থাকায় আইফোনের সেটিংস থেকে চালু করে প্রাইভেসি ও সিকিউরিটিতে গিয়ে অ্যাপ প্রাইভেসি রিপোর্ট অপশনে যেতে হবে। অপশনটি চালু হরে কোন অ্যাপ কতবার লোকেশন, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য, ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন ব্যবহার করেছে, তা জানা যাবে।
আইফোনের ফাইন্ড মাই অ্যাপ সাধারণত হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রের অবস্থান জানতে ব্যবহৃত হয়। তবে এই অ্যাপের মাধ্যমেই অন্য ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে লোকেশন শেয়ার করার সুযোগ রয়েছে। ব্যবহারকারী অজান্তেই যদি কারও সঙ্গে লোকেশন শেয়ার চালু থাকে, তাহলে তার চলাচলের তথ্য নিয়মিত অন্য পক্ষ দেখতে পারে। বিশেষ করে যাদের একসময় ফোন ব্যবহারের সুযোগ ছিল, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ফাইন্ড মাই অ্যাপটি পরীক্ষা করা জরুরি। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামের ওপর ট্যাপ করে লোকেশন শেয়ারিং বন্ধ করতে হবে।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য আইওএসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো সেফটি চেক। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী দেখতে পারেন, কোন কোন ব্যক্তি বা অ্যাপের সঙ্গে তার তথ্য শেয়ার হচ্ছে। প্রয়োজনে একে একে বা একসঙ্গে সব ধরনের শেয়ারিং বন্ধ করা সম্ভব। সেফটি চেক পাওয়া যাবে সেটিংস অপশনে। সেখানে গিয়ে প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি থেকে সেফটি চেক অপশনে যেতে হবে। এখানে থাকা ইমার্জেন্সি রিসেট বাটন চাপলে সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের তথ্য শেয়ারিং বন্ধ হয়ে যাবে। জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সেটিংস থেকে বের হতে কুইক এক্সিট অপশনও রাখা হয়েছে।
সূত্র: দ্য সান