
গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই সহকর্মীদের টানা দুই বছর নোবেল পুরস্কার অর্জন করায় গর্ব প্রকাশ করেছেন। এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মিশেল এইচ ডেভোরেট ও জন এম মার্টিনিসকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, গুগলের জন্য এটি এক অনন্য অর্জন এবং বিজ্ঞান ও গবেষণায় প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের বিনিয়োগের ফল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে সুন্দর পিচাই জানান, আজ সকালে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমি এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, যেখানে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নোবেলজয়ী রয়েছেন। মাত্র দুই বছরে গুগলের গবেষকেরা তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এটা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।’
পিচাই জানান, মিশেল ডেভোরে বর্তমানে গুগলের কোয়ান্টাম এআই ল্যাবের হার্ডওয়্যার বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর জন মার্টিনিস বহু বছর ধরে ওই ল্যাবের হার্ডওয়্যার টিমের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৮০–এর দশকে তাঁদের গবেষণার ফলাফলই আজকের কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছে। সেই গবেষণার ফলেই ভবিষ্যতের ত্রুটিমুক্ত (এরর-কারেকটেড) কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির পথ তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি সুন্দর পিচাই যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা বারবারায় অবস্থিত গুগলের কোয়ান্টাম ল্যাব পরিদর্শন করেন। সেখানে চলমান গবেষণার অগ্রগতি দেখে তিনি একে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে অভিহিত করেন। সুন্দর পিচাই বলেন, ‘বর্তমান ও সাবেক দুই মিলিয়ে গুগলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নোবেলজয়ী যুক্ত ছিলেন। এটি আমাদের সবার জন্যই গর্বের বিষয়।’
গত দুই বছরে গুগলের সঙ্গে যুক্ত পাঁচজন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার ২০২৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান প্রোটিনের গঠন পূর্বাভাস প্রযুক্তি (প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন) উদ্ভাবনের জন্য। এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান মিশেল এইচ ডেভোরেট ও জন এম মার্টিনিস। অন্যদিকে জিওফ্রে হিন্টন ২০২৪ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তবে এআই প্রযুক্তির অন্যতম পথিকৃৎ জিওফ্রে হিন্টন ২০২৩ সালে স্বেচ্ছায় গুগলের চাকরি ছেড়ে দেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া