পৃথিবীর শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। টেসলা, স্পেসএক্স ও পেপ্যাল তাঁর সফল উদ্যোগ। খুদে ব্লগ লেখার সাইট টুইটার কিনে, কর্মী ছাঁটাই করে এ সময়ে তুমুল আলোচিত ইলন মাস্ক। তারপরও ইলন মাস্ক সম্পর্কে অনেক তথ্যই হয়তো আপনার অজানা। তেমন ২১টি তথ্য নিয়ে দুই কিস্তি লেখার শেষ অংশ থাকছে আজ।
(গতকালের পর)
ইলন মাস্ক ২০০২ সালে স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠান করেন। মহাকাশ প্রযুক্তির এ উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য মহাকাশ যান উড্ডয়ন করে। ই-বের পেপ্যাল অধিগ্রহণ থেকে যে অর্থ এসেছিল, সেটা দিয়ে মাস্কের স্পেসএক্সের যাত্রা শুরু। ১০ কোটি ডলার দিয়ে শুরু করেন স্পেসএক্স, যা তিনি পেয়েছিলেন ই-বের কাছ থেকে।
২০০৬ সালে সোলারসিটি নামের সৌরশক্তি উৎপাদক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাস্কের দুই তুতো ভাই পিটার ও লিনডন রাইভ। শুরুতে ইলন মাস্ক এ কোম্পানিতে এক কোটি ডলার বিনিয়োগ করেন। তিনি এর পরিচালন পর্ষদেও যুক্ত হন। শেষমেশ ২০১৬ সালে টেসলা ২৬০ কোটি ডলারে সোলারসিটি অধিগ্রহণ করে। আর এর নতুন নামকরণ করা হয় টেসলা অ্যানার্জি।
মার্ভেলের এক্স-মেন কমিকসের প্রফেসর জেভিয়ারের নামে ইলন মাস্ক তাঁর ছেলের নাম রাখেন জেভিয়ার। ২০১৭ সালের একটি টুইটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাস্ক—‘আমার এক ছেলের নাম রেখেছি জেভিয়ার, প্রফেসর এক্সের নামে।’
প্রযুক্তিজগতের শীর্ষে থাকা ইলন মাস্ক আসফাগা’স সিনড্রোমে আক্রান্ত। এটি মৃদু ধরনের অটিজম। আসফাগা’স সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটি বিষয়ে খুটিনাটিসহ মনোযোগ দেন, একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা তেমন দক্ষ নন। চলতি বছর ইলন মাস্ক জানান, আসফাগা’স সিনড্রোম নিয়ে তিনি বেড়ে উঠেছেন।
ইলন মাস্কের মা মায়ে মাস্ক একজন মডেল। ৭৪ বছর বয়সে চলতি বছরে সাঁতারের পোশাক পরে স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড সাময়িকীর প্রচ্ছদের মডেল হয়েছেন। তিনি প্রসাধনী ব্র্যান্ড কভারগার্লেরও একজন মডেল।
ইলন মাস্ক টুইটার কিনছেন, সে খবর আলোচনায় ছিল অনেক দিন। আর এখন তো তিনি কিনেই ফেলছেন খুদে ব্লগ লেখার সাইট টুইটারকে। কিন্তু মাস্কের টুইটার–প্রেম নতুন কিছু নয়। ২০০৯ সালে টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। নিয়মিতই টুইট করতেন। তখন তাঁর যেসব টুইট তেমন লাইক পায়নি, এখন সেগুলো নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
না, বোরিং কোম্পানি ব্যর্থ কোনো উদ্যোগ নয়। এটি আসলে মাটির নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মানুষের দ্রুততর যাতায়াত নিশ্চিত করতে চাইছে।
ইলন মাস্কের আয় বা সম্পদ মূলত শেয়ারবাজারের ওপর নির্ভরশীল। তাঁর মালিকানায় থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের লভ্যাংশ থেকেই আসে অর্থ। তাহলে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কেমন আয় করেন মাস্ক? টেসলার দেওয়া তথ্যমতে, এ প্রতিষ্ঠান থেকে মাস্ক কোনো বেতন গ্রহণ করেন না।
২০১৮ সালে স্পেসএক্স এর একটি ফ্যালকন হেভি রকেট মহাকাশে পাঠায়। আর সেটি সাধারণ কোনো পণ্য মহাকাশে নিয়ে যায়নি। সেই মহাকাশযানে কার্গো ছিল একটি টেসলা রোডস্টার গাড়ি। এই গাড়ি মাস্ক কিনে নিয়েছিলেন, আর সেটি এখনো মহাকাশে ভাসছে।
ইলন মাস্কের বয়স যখন ১২, তখন ব্লাস্টার নামের একটি ভিডিও গেম তৈরি করেন নিজে। ৫০০ ডলারে একটি কম্পিউটার সাময়িকীর কাছে ১৯৮৪ সালে এই গেম বিক্রি করেন তখনকার কিশোর উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।
ইলন মাস্ক মজার এক চরিত্র ও উদ্যোক্তা। বিনিয়োগকারী বা বিনিয়োগকারী নন, এমন সবাই রাজনীতি নিয়ে মাস্কের সব মন্তব্যই পছন্দ করে। তা সে যে বিষয় নিয়েই হোক না কেন। মাস্ক যদি গানও গান, সেটাও তাঁরা পছন্দ করেন এবং তাঁর মতো হতে চান।