মঙ্গল গ্রহ
মঙ্গল গ্রহ

মঙ্গল গ্রহ আগে কেমন ছিল

মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ কেমন ছিল, তা জানার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহ আজকের মতো শুষ্ক ও জনশূন্য ছিল না। অতীতে মঙ্গলগ্রহে পৃথিবীর মতোই বৃষ্টি হতো। ফলে সেখানে বড় বড় উপত্যকার পাশাপাশি নদী ছিল। নদীগুলোর মাধ্যমে পানিনিষ্কাশন–ব্যবস্থাও তৈরি হয়েছিল। তাই হারিয়ে যাওয়া নদীপথ থেকে মঙ্গল গ্রহের জলবায়ু, ভূতত্ত্ব ও জীবনের সম্ভাবনা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিনের বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে নদীর মাধ্যমে পানিনিষ্কাশন–ব্যবস্থার সম্ভাব্য মানচিত্র তৈরি করেছেন। এই মানচিত্রে অতীতে মঙ্গল গ্রহে থাকা উপত্যকা, হ্রদ, নদী ও গিরিখাতের তথ্য পর্যালোচনা করে ১৯টি নিষ্কাশন অববাহিকা শনাক্ত করা হয়েছে। এসব ক্লাস্টারের মধ্যে ১৬টি পানির আধার ১ লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে ছিল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী টিমোথি এ গাউডজ বলেন, ‘আমরা সব সময়ই মনে করছি, মঙ্গল গ্রহে নদী ছিল। তবে সেখানে এমন বড় আকারের পানিনিষ্কাশন–ব্যবস্থা ছিল তা আগে অজানা ছিল।’

পৃথিবীতে ১ লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি আকারের ৯১টি বড় নিষ্কাশন অববাহিকা রয়েছে। আমাজন নদী অববাহিকা ৬২ লাখ বর্গকিলোমিটার হলেও টেক্সাসের কলোরাডো নদী অববাহিকা ১ লাখ বর্গকিলোমিটারের কিছুটা বেশি। কমসংখ্যক নিষ্কাশন অববাহিকা থাকা সত্ত্বেও, মঙ্গল গ্রহের বড় অববাহিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গল গ্রহের বেশির ভাগ পৃষ্ঠ ছোট ও বিচ্ছিন্ন পানিনিষ্কাশন–ব্যবস্থা নিয়ে গঠিত হয়েছিল। তাই ১৬টি বড় অববাহিকাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে মনে করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এসব স্থানে ভবিষ্যতে রোবোটিক এবং মানব মিশনের জন্য মূল অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া