Thank you for trying Sticky AMP!!

২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর প্যারিসে এক নিলামে ১ লাখ ইউরোর বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল প্রথম এসএমএস

প্রথম এসএমএস পাঠানো হলো

৩ ডিসেম্বর ১৯৯২

ব্রিটিশ প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট নীল প্যাপওয়ার্থ তাঁর পারসোনাল কম্পিউটার থেকে সহকর্মী রিচার্ড জ্যারভিসের ফোনে প্রথম খুদে বার্তা বা এসএমএস পাঠান। বার্তায় লেখা ছিল ‘মেরি ক্রিসমাস’।

৩ ডিসেম্বর ১৯৬৮

যুক্তরাষ্ট্রের কন্ট্রোল ডেটা করপোরেশন (সিডিসি) ৭৬০০ মডেলের সুপারকম্পিউটারের ঘোষণা দেয়।

৩ ডিসেম্বর ১৯২৪

ফোট্র্যান প্রোগ্রামিং ভাষা নির্মাতা দলের প্রধান জন ওয়ার্নার বাকাস যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

৩ ডিসেম্বর ১৯৯৪

ভিডিও গেম খেলার যন্ত্র বা গেমিং কনসোল প্লে স্টেশন নিয়ে আসে জাপানের সনি করপোরেশন।

৩ ডিসেম্বর ১৯৯২
প্রথম এসএমএস পাঠান নীল প্যাপওয়ার্থ
ব্রিটিশ প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট নীল প্যাপওয়ার্থ তাঁর পারসোনাল কম্পিউটার ব্যবহার করে সহকর্মী রিচার্ড জ্যারভিসের ফোনে প্রথম খুদে বার্তা বা এসএমএস পাঠান। এই বার্তায় লেখা ছিল ‘মেরি ক্রিসমাস’।

প্রথম এসএমএস পাঠিয়েছিলেন নীল প্যাপওয়ার্থ

প্রোগ্রামার নীল প্যাপওয়ার্থ ভোডাফোনের জন্য কাজ করছিলেন। তিনি ভোডাফোনের শর্ট মেসেজ সার্ভিস বা এসএমএসের জন্য ডেভেলপার ও টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছিলেন। ১৯৯২ সালে যুক্তরাজ্যে বসে ২২ বছর বয়সী নীল প্যাপওয়ার্থ ভোডাফোনের কর্মী রিচার্ড জ্যারভিসকে প্রথম এসএমএসটি পাঠান। এর এক বছর পর মুঠোফোন নির্মাতা নকিয়া তাদের ফোনে ‘বিপ’ সংকেতসহ এসএমএস আদান–প্রদানের সুবিধা চালু করে। শুরুর দিকে ১৬০ অক্ষর বা ক্যারেক্টারের মধ্যে এসএমএস লেখা সীমিত ছিল। তাই শুরুর দিকের ব্যবহারকারীরা সংক্ষেপে মনের ভাব প্রকাশ করতে ‘txt spk’, LOL (লাফিং আউট লাউড) ইত্যাদি সংক্ষিপ্ত শব্দের রূপ আবিষ্কার করেছিলেন। এই সংক্ষিপ্ত শব্দগুলো পরে ইমোজি তৈরি ও ব্যবহারে ভূমিকা রাখে।

সিডিসি ৭৬০০ সুপারকম্পিউটার

৩ ডিসেম্বর ১৯৬৮
সুপারকম্পিউটারের ঘোষণা দিল সিডিসি

যুক্তরাষ্ট্রের কন্ট্রোল ডেটা করপোরেশন (সিডিসি) তাদের ৭৬০০ মডেলের সুপারকম্পিউটারের ঘোষণা দেয়। সত্যিকারের সুপারকম্পিউটার হিসেবে ৭৬০০ মডেলকে ধরা হয়। সিডিসি ৭৬০০ প্রতি সেকেন্ড প্রায় ৪০ মেগাফ্লপস গতিতে গণনা করতে পারত। এই কম্পিউটারের নকশা করেছিলেন সেমুর ক্রে। ৭৬০০ কম্পিউটারের পূর্বসূরি ৬৬০০ মডেলটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তবে ৭৬০০–এর উত্তরসূরি ৮৬০০ কম্পিউটারের কোনো বিপণন করেনি সিডিসি।

৩ ডিসেম্বর ১৯২৪
জন বাকাসের জন্ম
ফোট্র্যান প্রোগ্রামিং ভাষা নির্মাতা দলের প্রধান জন ওয়ার্নার বাকাস যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েই তিনি আইবিএমে প্রোগ্রামার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে বাজারে সহজলভ্য ফোট্র্যান প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরির দলকে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৯ সালে তিনি বাকাস নাওর ফর্ম (বিএনএফ) উদ্ভাবন করেন। প্রোগ্রামিং ভাষার বাক৵ গঠনে বিএনএফ নোটেশন একটি মান তৈর করে দেয়। কম্পিউটারবিজ্ঞানে বাকাসের তৃতীয় অবদান হলো ফাংশনাল প্রোগ্রামিং (এফপি) ভাষা তৈরি। ১৯৮০ সালে বাকাস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটির পাইওনিয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৯৪ সালে বাকাসকে ড্র্যাপার পুরস্কার প্রদান করে। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ জন বাকাস মারা যান।  

প্লে স্টেশন–৪

৩ ডিসেম্বর ১৯৯৪
সনি নিয়ে এল প্লে স্টেশন
ভিডিও গেম খেলার যন্ত্র বা গেমিং কনসোল প্লে স্টেশন নিয়ে আসে জাপানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সনি করপোরেশন। সনি ইন্টারঅ্যাকটিভ এন্টারটেইনমেন্টের প্লে স্টেশন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায়।

প্লে স্টেশনের লোগো

‘খেলার কোনো সীমা নেই’ স্লোগানে প্রথমে জাপানের বাজারে ছাড়া হয় প্লে স্টেশন। পরের বছর বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করা হয় প্লে স্টেশন। এক দশকে ১০ কোটি প্লে স্টেশন–১ বিক্রি হয়েছে। ২০০০ সালে ছাড়া হয় প্লে স্টেশন–২। ২০১২ সাল পর্যন্ত এর বিক্রির পরিমাণ ১৫ কোটি ৫০ লাখ। প্লে স্টেশন–৩ বাজারে আসে ২০০৬ সালে। ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত এর বিক্রির পরিমাণ ৮ কোটি ৪০ লাখ। ২০১৩ সালে সনি আনে প্লে স্টেশন–৪। এটি হয়ে ওঠে দ্রুত বিক্রীত গেমিং কনসোল। বাজারে আসার এক দিনের মধ্যে ১০ লাখ প্লে স্টেশন–৪ বিক্রি হয়। সর্বশেষ প্লে স্টেশন–৫ বাজারে এসেছে ২০২০ সালে। বাজারে আসার ২৪৯ দিনে ১ কোটি প্লে স্টেশন–৫ বিক্রি হয়েছে।