ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা ঠেকাতে নতুন যাচাইপ্রক্রিয়া চালু করেছে লিংকডইন। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে অনলাইনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে নিয়োগদাতার পদবি ও কর্মস্থলের তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছে পেশাজীবীদের নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মটি। নতুন এ নিয়ম নির্বাহী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা পেজ যাচাইয়ের পদ্ধতি আগের তুলনায় সহজ করা হয়েছে।
বর্তমানে যেসব ব্যবহারকারী নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত, তাদের তাৎক্ষণিকভাবে যাচাইপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না। তবে কেউ নতুন করে ‘রিক্রুটার’ বা ‘ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন স্পেশালিস্ট’ ধরনের পদবি যোগ করলে বা বর্তমান পদবি পরিবর্তন করলে সেসব তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করা হবে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে অফিশিয়াল ই-মেইল ঠিকানার মাধ্যমে কর্মস্থলের প্রমাণ দিতে হবে নিয়োগকারীদের। এ বিষয়ে লিংকডইনের ট্রাস্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অস্কার রদ্রিগেজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নতুন এ উদ্যোগ চাকরিপ্রার্থীদের প্রকৃত নিয়োগকর্তাকে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে এবং প্রতারণার ঝুঁকি কমাবে।
লিংকডইনে ‘ভেরিফায়েড রিক্রুটার’ লেবেল চালু থাকলেও তা শুধু অর্থের বিনিময়ে নিবন্ধনকৃত নিয়োগকর্তাদের জন্য সীমিত। নতুন নিয়মে ‘এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’ বা ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ পদবিধারীদের জন্যও যাচাইপ্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে সহজেই লিংকডইনের ভেরিফিকেশন ব্যাজের জন্য আবেদন করতে পারবে।
২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ব্যবহারকারী যাচাইপ্রক্রিয়া চালু করে লিংকডইন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮ কোটির বেশি ব্যবহারকারী নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। চলতি বছরের শুরুতে এ সুবিধা লিংকডইনের বাইরেও সম্প্রসারণ করা হয়। ফলে অ্যাডোবিসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মেও ব্যবহারকারীরা তাঁদের প্রোফাইলে ‘ভেরিফায়েড অন লিংকডইন’ ব্যাজ প্রদর্শন করতে পারেন।
সূত্র: দ্য ভার্জ