হাইতি যাচ্ছে মার্কিন তদন্ত দল

প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডের পর হাইতিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রয়টার্স ফাইল ছবি

হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহায়তার জন্য দেশটিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল।

স্থানীয় সময় গতাকল রোববার মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কারবি এ কথা বলেন। সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জন কারবি বলেন, ‘মইসি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমরা কী ধরনের সহায়তা দিতে পারি, তা দেখতে আজ একটি দল হাইতি যাচ্ছে। দলটিতে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং গোয়েন্দা সংস্থা এএফবিআইয়ের সদস্যরা রয়েছেন।’ তবে তাঁরা কত দিন হাইতিতে অবস্থান করবেন তা জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘসহ এ অঞ্চলের সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রেসিডেন্টের হত্যাকাণ্ডে তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল হাইতি। জন কারবি জানান, বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা চেয়ে পেন্টাগনের কাছে অনেক অনুরোধ আসে। হাইতির বিষয়টিও সেগুলোর মধ্যেই একটি। এটি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে হাইতি থেকে ফেরার পর মার্কিন দল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কাছে সেখানের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরবে। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে হাইতিতে পরবর্তী মার্কিন পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।

মইসি হত্যাকাণ্ডে ২৮ জন ভাড়াটে ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইতির পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার। আর ২ জন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এই দলের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩ জন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আরও ৮ জন পলাতক।

গত বুধবার বন্দুকধারীরা প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির বাসায় হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে। এ হামলায় তাঁর স্ত্রী মার্টিন মইসি আহত হন। জোভেনেল মইসি ২০১৭ সাল থেকে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর পদত্যাগ দাবি করে দেশটিতে একাধিকবার বিক্ষোভ হয়। জোভেনেল মইসি নিহত হওয়ায় হাইতির সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ।