জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার
জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার

ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে

জাস্টিন ট্রুডো যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অনেকের কাছে এক আদর্শ প্রেমের গল্প। কিন্তু ২০২৩ সালের আগস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত হন। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের তুমুল প্রেমময় ছবি, সন্তানদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, এমন জুটির ভাঙন কখনো সম্ভব নয়। হাতে হাত রেখে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটাবেন তাঁরা। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক।

‘এক বৈশাখে দেখা হল দুজনার/ জ্যৈষ্ঠিতে হল পরিচয়/ আসছে আষাঢ় মাস মন তাই ভাবছে/ কি হয় কি হয়!’

ট্রুডো ও সোফির প্রথম দেখা বৈশাখ মাসে হয়তো হয়নি। তাঁদের দেখা হয়েছিল শৈশবে। সোফি ছিলেন ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের স্কুলের সহপাঠী ও বন্ধু। এই সূত্রে ট্রুডো পরিবারে যাতায়াত ছিল সোফির। সে সময় তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত হয় অনেক বছর পরে, ২০০৩ সালে, যখন তাঁরা একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ট্রুডোর বয়স তখন ৩১, আর সোফির ২৮।

সোফি তখন একজন টেলিভিশন ও রেডিও উপস্থাপক। ট্রুডো ছিলেন একজন শিক্ষক ও বক্তা। সেই অনুষ্ঠানে তাঁদের মধ্যে এক গভীর সংযোগ তৈরি হয়। সোফি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি যেন তাঁর ‘আত্মার আয়না’ দেখতে পাচ্ছিলেন। ট্রুডোও সোফির বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও সামাজিক সচেতনতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০০৪ সালের অক্টোবরে সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। সোফি সানন্দে রাজি হন।

জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার

বিয়ে ও সংসার

২০০৫ সালের ২৮ মে মন্ট্রিলে এক জমকালো অনুষ্ঠানে ট্রুডো ও সোফি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের বিয়ে ছিল কানাডার রাজনীতি ও গণমাধ্যমে এক আলোচিত ঘটনা।

বিয়ের পর ট্রুডোর রাজনীতি থেকে শুরু করে সবকিছুর পাশে ছিলেন সোফি। ট্রুডো যখন লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী হন, সোফি তাঁর পাশে থেকে সব ধরনের সমর্থন জুগিয়েছেন।

তাঁদের তিন সন্তান—জেভিয়ার (জন্ম ২০০৭), এলা-গ্রেস (জন্ম ২০০৯) ও হ্যাড্রিয়েন (জন্ম ২০১৪)। সন্তানদের নিয়ে তাঁদের সংসার ছিল সুখী ও পরিপূর্ণ।

সোফি একজন সচেতন মা হিসেবে সন্তানদের লালন-পালনের পাশাপাশি জনহিতকর কাজ, নারীর অধিকার ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জোরেশোরে কাজ করেন। ট্রুডো পরিবারকে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যেত। পরিবারটির বন্ধন ছিল সবার কাছে স্পষ্ট। সোফি তাঁর নিজস্ব ধরন ও সামাজিক কার্যক্রমের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।

অপ্রত্যাশিত অধ্যায়

দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ট্রুডো ও সোফি বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। ইনস্টাগ্রামে ট্রুডো এক পোস্টের মাধ্যমে এ খবর জানান। যেখানে তিনি লেখেন, ‘সোফি ও আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে আমরা আলাদা হয়ে যাব।’

ট্রুডো আরও উল্লেখ করেন, তাঁরা ‘গভীর ভালোবাসা ও সম্মানের’ সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের সন্তানদের ভালো থাকার জন্য তাঁরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন তাঁরা।

এই বিচ্ছেদ অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত ছিল। কারণ, বাইরে থেকে তাঁদের সম্পর্ককে বেশ মজবুত বলেই মনে হতো। যদিও তাঁদের বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট করে জানানো হয়নি, তবে ধারণা করা হয়, ট্রুডোর প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্বের চাপ ও জনজীবনের কঠোরতা তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল।

বিচ্ছেদের পরও ট্রুডো ও সোফি তাঁদের সন্তানদের যৌথভাবে লালন-পালনের অঙ্গীকার করেন। জনসমক্ষেও তাঁদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দেখা গেছে।

সন্তানদের সঙ্গে জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার

প্রভাবশালী পরিবার

ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবন তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাঁর বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো ছিলেন কানাডার অন্যতম প্রভাবশালী ও দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী। পিয়েরে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৯ সাল এবং আবার ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কানাডার সংবিধানের চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস অন্তর্ভুক্তির জন্য বিখ্যাত। পিয়েরে কানাডাকে দ্বিভাষিক ও বহুজাতিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

পিয়েরের বাবা, অর্থাৎ জাস্টিন ট্রুডোর দাদা চার্লস ট্রুডোও একজন সফল ব্যবসায়ী ও আইনজীবী ছিলেন। যদিও তিনি সরাসরি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না; তবে তাঁর সামাজিক প্রভাব ছিল ব্যাপক। ট্রুডো পরিবার কানাডার রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে আসছে।

জাস্টিন ট্রুডো তরুণ বয়সে শিক্ষকতা করতেন। যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে। বাবার মৃত্যুর পর ২০০০ সালে জনসাধারণের নজরে আসেন জাস্টিন ট্রুডো, যখন তিনি বাবার শেষকৃত্যে একটি আবেগঘন শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। এই সময় থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

২০০৮ সালে ট্রুডো মন্ট্রিয়লের পাপিনো আসন থেকে লিবারেল পার্টির সদস্য হিসেবে হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন। তিনি দ্রুতই দলের মধ্যে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর নেতৃত্বগুণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। ২০১৩ সালে তিনি লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ফেডারেল নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি বড় জয় লাভ করে। ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জাস্টিন ট্রুডো

কেমন ছিল শাসনকাল

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাস্টিন ট্রুডোর শাসনকালে কানাডা বেশ কিছু বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। তাঁর সরকারের মূলনীতিগুলোর মধ্যে ছিল মধ্যবিত্তের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পুনর্মিলন ও কানাডার আন্তর্জাতিক ভূমিকা জোরদার করা। তিনি কানাডার অভিবাসননীতিকে আরও উদার করেন। আরও এগিয়ে নেন বহুসংস্কৃতির ধারণাকে।

জাস্টিন ট্রুডো আধুনিক কানাডার এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্য, ব্যক্তিগত ক্যারিশমা ও প্রগতিশীল নীতি তাঁকে এক অনন্য অবস্থানে নিয়ে আসে।

জাস্টিন ট্রুডোর শাসনকালে কিছু চ্যালেঞ্জও আসে। কিছু কেলেঙ্কারি, কোভিড-১৯ মহামারি, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মতো সমস্যাগুলো তাঁর সরকারকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক সংকটগুলোতেও কানাডার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

কেন সরে দাঁড়ালেন

কয়েক বছর ধরে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমছিল। মূল্যস্ফীতি, আবাসনসংকট ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল। জনমত জরিপগুলোয় তাঁর দল লিবারেল পার্টি প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে পিছিয়ে পড়ছিল।

নিজ দল লিবারেল পার্টির মধ্যেও ট্রুডোর নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। দলের অনেক এমপি তাঁর পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছিলেন। কারণ, তাঁরা মনে করছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচনে জয়ী হওয়া কঠিন হবে।

ট্রুডোর মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যের আকস্মিক পদত্যাগ, বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ সরকারের মধ্যে অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। তাঁর ওপর চাপ বাড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক–হুমকির মতো আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলায় ট্রুডোর সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগও ওঠে।

এ সবকিছু মিলে ট্রুডো ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। লিবারেল পার্টি নতুন নেতা হিসেবে মার্ক কার্নিকে নির্বাচিত করে। কার্নি ২০২৫ সালের মার্চ মাস থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি

বিচ্ছেদের পর সোফি

ট্রুডোর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সোফির জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে তিনি ট্রুডোর বাসভবন ছেড়ে কাছাকাছি একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে থাকছেন। তবে তাঁরা এখনো সন্তানদের যৌথ অভিভাবকত্ব বজায় রেখেছেন। সন্তানদের মঙ্গলের জন্য সম্মানজনক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। এমনকি বিচ্ছেদের পরও তাঁরা সপরিবার ছুটি কাটিয়েছেন।

সোফি এখনো বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি নারী ও শিশুদের সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন।

সোফি একজন পেশাদার ‘পাবলিক স্পিকার’। বিশেষ করে নারীদের সমস্যা নিয়ে তিনি জনবক্তৃতা করেন। সম্প্রতি তিনি ‘ক্লোজ টুগেদার: নোইং আওয়ারসেলভস, লাভিং ইচ আদার’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছেন, যা বেস্টসেলার হয়েছে। এ বইয়ে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মসচেতনতা ও সম্পর্ক নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।

সোফি বিচ্ছেদের পর তাঁর মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি থেরাপি, যোগ ও ধ্যান অনুশীলন করে মানসিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার কথা বলেছেন।

বিচ্ছেদের কয়েক মাস পরেই সোফিকে অটোয়ার পেডিয়াট্রিক সার্জন মার্কোস বেত্তোলির সঙ্গে দেখা গেছে, যা একটি নতুন সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। মার্কোস চিলড্রেন’স হাসপাতাল অব ইস্টার্ন অন্টারিওতে কাজ করেন। তিনি অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাঁরা বিয়ে করেছেন—এমন কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি। তবে বিয়েতে ব্যক্তিগত, আইনি বা সামাজিক কোনো অসুবিধাই নেই।

কেটি পেরি

বিচ্ছেদের পর ট্রুডো

ট্রুডো এখন আর সংসদ সদস্য নেই। তবে অতি সম্প্রতি তিনি আবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন। মন্ট্রিলে পপ তারকা কেটি পেরির একটি কনসার্টে তাঁকে দেখা গেছে। কনসার্ট শেষে তাঁরা একত্রে ডিনার করেছেন, যা দুই ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয়। তাঁরা লবস্টারসহ অন্যান্য খাবার ভাগ করে নিয়েছেন। এটা এই দুজনের নতুন প্রেমের ইঙ্গিত হতে পারে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।

নিউইয়র্ক টাইমস অবশ্য আরেকটু এগিয়ে—এর আগে কোন রাজনীতিবিদ কোন পপ তারকার সঙ্গে প্রেম করেছেন, তা–ও জানিয়েছে। যদিও রেস্তোরাঁটির একজন ওয়েটার বলেছেন, ডিনারের সময় ট্রুডো বা কেটি, কেউই ডেটিং ভাইবস বা প্রেমিক-প্রেমিকার মতো আচরণ করেননি; বরং তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশই দেখা গেছে।

এই জুলাইয়ে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে কেটির।

ট্রুডো ও সোফি—একসময় ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে শুধু কানাডাই নয়, গোটা বিশ্বের নজর কাড়তেন। কিন্তু তাঁদের পথ আজ আলাদা। একজন হয়তো নতুন সম্পর্কে নতুনভাবে জীবন সাজাচ্ছেন, অন্যজন এখনো নিজের জায়গা খুঁজে নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের দুজনের জীবনেই রয়েছে প্রকাশ্য দায়িত্ব আর ব্যক্তিগত যাত্রার দ্বন্দ্ব।

রাজনীতি, ভালোবাসা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা—এই তিনটির মাঝামাঝি ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া একপ্রকার সৃষ্টিশীল সংগ্রাম। আর ট্রুডো ও সোফির গল্প সেই সংগ্রামেরই এক গভীর ও সমকালীন উদাহরণ।

(কসমোপলিটান, পিপলসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম)