
প্রত্যেকের জীবনে ‘বিশেষ’ কারও সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের ঘটনা স্মরণীয় হয়ে থাকে। সেই সাক্ষাতের মুহূর্ত বহুদিন স্মৃতির আঙিনায় রয়ে যায়। প্রথম দেখা, একে অন্যের দিকে চেয়ে থাকা, ধীরে ধীরে প্রেম—কতভাবেই না প্রিয় মানুষটির সঙ্গে স্মৃতি থাকে। তবে এ গল্প অন্য রকম এক প্রথম দেখার।
ব্রাজিলের রাস্তায় আপন মনে হাঁটছিলেন তরুণী এমানুয়েলা। হাতে ছিল মুঠোফোন, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। অতর্কিতে এক ব্যক্তি ছোঁ মেরে তাঁর হাতের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে যায়। চোখের সামনে চুরি হতে দেখেও অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকা ছাড়া সে সময় কিছুই করার ছিল না এমানুয়েলার।
তবে ঘটনার শেষ এখানেই নয়। ঘরে ফেরার পর মুঠোফোনে এমানুয়েলার ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে যান চোর। তাঁর কথায় ‘এমন রূপবতী নারী তো হামেশাই দেখা যায় না।’ এরপর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। ‘রূপবতী’ এমানুয়েলাকে খুঁজতে শুরু করেন তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া ওই ব্যক্তি।
খুঁজতে খুঁজতে একদিন এমানুয়েলার দেখা পেয়ে যান সেই মুঠোফোন চোর। ভালো লাগা দ্রুত ভালোবাসার সম্পর্কে রূপ নেয়। এরপর দুই বছর তাঁরা চুটিয়ে প্রেম করেন। সম্প্রতি এই যুগলের বিয়ে হয়েছে। তাঁদের এমন ‘অদ্ভুত’ প্রেম ও বিয়ের গল্প বেশ আলোড়ন ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তাঁদের প্রেম ও বিয়ে নিয়ে জানতে চাইলে এক সাংবাদিককে ওই তরুণ বলেন, ‘আমি যখন মুঠোফোনে তাঁর ছবি দেখলাম, তখন নিজেই নিজেকে বলতে লাগলাম, কী অপূর্ব এক রমণী! এ রকম রূপবতী নারী তো আর হামেশা দেখা যায় না। এরপর মুঠোফোন চুরি করায় অনুশোচনা শুরু হলো আমার।’
এ কথা শোনার পর মিল্টন নিভস নামের ওই সাংবাদিক হাসতে হাসতে তরুণকে বলেন, ‘আচ্ছা, আপনি তাহলে মুঠোফোনের সঙ্গে তাঁর হৃদয়ও চুরি করেছেন।’ তখন তরুণ বলেন, ‘একদম তা-ই’।
তবে গল্পটি নিয়ে টুইটারে প্রশ্নও উঠেছে। একজন বলছেন, ওই চোর মুঠোফোনের লক কীভাবে খুললেন? আরেকজনের প্রশ্ন, মুঠোফোন তাঁর কাছে থাকলে দুজনের মধ্যে কথা হলো কীভাবে?