Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউরেনিয়াম আহরণে সীমা মানবে না ইরান

২০১৫ সালে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করে ইরান। ছবি: রয়টার্স

পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের মূল উপাদান ইউরেনিয়াম আহরণে আন্তর্জাতিক সীমা মানবে না ইরান। পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির ক্ষেত্রে তারা যে নতুন করে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, এতে তার আভাস সুস্পষ্ট।

দেশটির পারমাণবিক প্রধান প্রাথমিক পদক্ষেপের এই তথ্য জানিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে তাঁরা পারমাণবিক চুল্লির জন্য ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম আহরণের বিষয়টি রাখবেন, যা আন্তর্জাতিক রীতি অনুসরণের ব্যত্যয়।

ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহির উদ্ধৃতি গতকাল রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। এতে তিনি বলেন, তাঁরা পরমাণু বিজ্ঞান ও শিল্পে এমন অগ্রগতি অর্জন করেছেন যে নিজেরাই নতুন জ্বালানি তৈরির ব্যবস্থা নিতে সক্ষম। তাঁরা এখন এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যাতে ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম আহরণ করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক রীতি এর চেয়ে অনেক কম বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম আহরণ সমর্থন করে।

২০১৫ সালে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরান যে পারমাণবিক চুক্তি করে, এতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি বেঁধে দেওয়া হয়। চুক্তিতে বলা হয়, ইরান ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পরিমাণ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম আহরণ করতে পারবে।

চুক্তির আগে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর যুক্তি, চুক্তিটি দুর্বল। চুক্তি থেকে বেরিয়ে ইরানের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন: 
ইরান চুক্তি নিয়ে ইউরোপ ও চীন-রাশিয়ার লাভ-ক্ষতি
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প
ইরান চুক্তি বাতিল করলেন ট্রাম্প, এরপর কী হবে?
ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়ানোর জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ