
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ভিয়েতনামের ফাম মিনহ হুং ও নাগুয়েন থি চি এম দম্পতি। তাঁদের সঙ্গী ছিল ১২টি পোষা কুকুর। তাঁদের কাছ থেকে কুকুরের শরীরে করোনা ছড়াবে, পরে তা আশপাশের পশুপাখির মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে কুকুরগুলোকে মেরে ফেলেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় শোকে মুষড়ে পড়েছেন ওই দম্পতি। নিন্দার ঝড় উঠেছে ভিয়েতনামজুড়ে। খবর বিবিসির।
এর আগে ফাম–নাগুয়েন দম্পতির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। ছবিতে তাঁদের ১২টি কুকুরসহ মোটরসাইকেলে চড়ে যাত্রা করতে দেখা যায়।
৮ অক্টোবর তাঁরা ২৮০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ভিয়েতনামের কা মাউ প্রদেশের খানহ হুং শহরে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
ওই শহরে করোনার প্রকোপ তুলনামূলক কম। সেখানে যাওয়ার পর ফাম–নাগুয়েন দম্পতির করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তাঁদের ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
সেখানে শুয়েই তাঁরা জানতে পারেন, করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয় থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রিয় কুকুরগুলোকে মেরে ফেলেছে।
ফাম মিনহ হুং বিবিসিকে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি আর আমার স্ত্রী অনেক কেঁদেছি। আমি ভাবতে চাই না, এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি সন্তানসম কুকুরগুলোকে রক্ষায় কিছুই করতে পারিনি।’
ফাম–নাগুয়েন দম্পতির সঙ্গে ঘটা এ ঘটনা টিকটকে শোরগোল ফেলেছে। কুকুরগুলোর সঙ্গে কর্তৃপক্ষের এ আচরণকে ‘নিষ্ঠুর, হৃদয়বিদারক ও অমানবিক’ বলছেন অনেকেই। ভিয়েতনামের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও বৈশ্বিক পশু অধিকার সংগঠন ফোর প–এর সদস্য হং আনহ বলেন, ‘এটি বর্বর ঘটনা’।
ভবিষ্যতে এমন আচরণ ঠেকাতে একটি পিটিশনে ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লাখ ভিয়েতনামিজ সই করেছে।