সোমবার আদালতে হাজির ছিলেন নাজিব রাজাক। ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
সোমবার আদালতে হাজির ছিলেন নাজিব রাজাক। ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

গৃহবন্দী থাকার আবেদন খারিজ, কারাগারেই থাকতে হচ্ছে নাজিব রাজাককে

কারাগারে নয়, গৃহবন্দী থেকে নিজের বাকি কারাদণ্ড ভোগ করার আবেদন করেছিলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। কিন্তু আজ সোমবার দেশটির আদালত তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

দুর্নীতির মামলায় কারাবাসে থাকা নাজিবের জন্য এটি একটি বড় আঘাত। নাজিবের বিরুদ্ধে লাখ লাখ ডলারের আলোচিত এই দুর্নীতির মামলাটি ‘১ এমডিবি আর্থিক কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত। মালয়েশিয়া ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে এই মামলা নিয়ে তদন্ত হয়েছে। নাজিবের বিরুদ্ধে এই কেলেঙ্কারি সংশ্লিষ্ট আরও একটি মামলার রায় এ সপ্তাহে আসার কথা রয়েছে।

২০২২ সালে এ মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর সাজা কমিয়ে অর্ধেক করা হয়। ৭২ বছর বয়সী নাজিব এখন তাঁর ছয় বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

নাজিবের আইনজীবীরা তাঁর সাজার বাকি মেয়াদ গৃহবন্দী থেকে কাটানোর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। আদালতে তাঁদের যুক্তি ছিল, মালয়েশিয়ার সাবেক রাজার একটি অনুমোদন নাজিবকে সাজার বাকি মেয়াদ বাড়িতে বন্দী থেকে ভোগ করার অনুমতি দিয়েছে। সাবেক রাজার ওই অনুমোদন ‘রয়্যাল অ্যাডেনডাম’ নামে পরিচিত।

যদিও আইনজীবীদের এই যুক্তির সঙ্গে বিচারক অ্যালিস লোক ই চিং একমত হতে পারেননি। তিনি বলেন, রয়্যাল অ্যাডেনডাম বৈধ কোনো আদেশ ছিল না।

কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক অ্যালিস লোক ই চিং আরও বলেন, ‘আদালত গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দিয়ে কোনো আদেশ জারি করতে পারে না। কারণ, মালয়েশিয়ায় গৃহবন্দী রাখার কোনো আইনি বিধান নেই। তাই বিচারিক পর্যালোচনার আবেদন খারিজ করা হলো।’

বিচারকের এই রায় শোনার পর ধূসর রঙের স্যুট ও সাদা শার্ট পরা নাজিবকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়।

নাজিবের আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ শুনানি শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব আদালতের এই সিদ্ধান্তে খুবই হতাশ। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

নাজিবকে ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রথমে এই মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে দেশটির শাস্তি মওকুফ বোর্ড (পারডনস বোর্ড) তাঁর সাজার মেয়াদ অর্ধেক কমিয়ে দেয়।